বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের সোয়্যাগ কারওরই অজানা নয়! কিন্তু জানেন কি, সলমন একবার হেলিকপ্টার নিয়ে শ্যুটিংয়ে এসেছিলেন। তারপর আবার শ্যুটিং না করেই ফিরে যান!
কোনো ছবিতে সলমন খানের থাকা এখনও হিটের গ্যারান্টি হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে অনেকেই দাবি করেন যে, খামখেয়ালি সলমনের কারণে কখনো কখনো নির্মাতারা বেশ সমস্যাতেও পড়ে যান। এরকমই এক ঘটনা ঘটেছিল দাবাং তৈরির সময়।
দাবাং পরিচালক অভিনব কাশ্যপ সম্প্রতি সলমনকে নিয়ে কিছু বিস্ফোরক কথা শেয়ার করেছেন। সেখানেই তিনি বলেন, ‘দাবাংয়ের সময় তিনি একটু ভালো ছিলেন। বিকেল ৫ টায় আসতেন, আমরা শুটিংয়ের জন্য প্রায় ৩০ মিনিট সূর্যের আলো পেতাম। তিনি প্রচণ্ড রোদে ক্লান্ত হয়ে লোকেরা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে, তা দেখাতে পছন্দ করতেন।’
অভিনব আরও দাবি করেন যে, ‘এমনিতেই সবাই গোটা দিন সলমনের জন্য অপেক্ষা করত। আর তিনি যখন কাজে আসতেন, তখন ভ্যানিটি ভ্যানের বাইরে ঘণ্ঠাখানেক ধরে কফি খেয়ে আরও সময় নষ্ট করতেন।’ এরপর একটি ঘটনার কথা ভাগ করেন অভিনব। বলেন-
‘একবার আমরা পঞ্চগনিতে শুটিং করছিলাম, যা মুম্বই থেকে চার ঘন্টারও বেশি দূরে। আমরা জানতাম যে, সলমন মুম্বই থেকে আসছেন, তাই অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হতে পারে। আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে তিনি দুপুর ২টা বা ৩টার আগে আসবেন না। প্রথমে, তার লোকেরা মিথ্যা বলেছিল। তারা বলতে থাকে যে, তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন এবং পথে রয়েছেন। তারপর তারা বলেছিলেন যে, তিনি তাঁর ভ্যানিটি ভ্যানে আসছেন এবং ঘুমোচ্ছেন। দুপুর ১টা বা ২টার দিকে তারা বলেছিল যে, সালমান এখনও বেরোননি, তবে হেলিকপ্টারে আসবেন। বিকেল ৩টা বা ৪টার দিকে আমাকে বলা হয়েছিল যে তিনি গ্যালাক্সি থেকে বেরিয়েছেন।’
অভিনব জানান, বিকেল ৫টার পর, তিনি যখন শুটিং বাতিল করার কথা ভাবছিলেন, ঠিক তখনই তিনি একটি হেলিকপ্টার আসার কথা শুনতে পান। সেটে হেলিকপ্টারটি অবতরণের জন্য কোনও জায়গা ছিল না, তাই তিনি ধরে নিয়েছিলেন যে এটি অন্য কোথাও অবতরণ করবে এবং সলমনকে সেখান থেকে সেটে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু হেলিকপ্টারটি সেটের ঠিক উপরে এসে মাটি থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে নেমে আসে। আর সলমন হেলিকপ্টার থেকে মাথা বের করে হাত নেড়ে ইশারা করে বলেন, শ্যুট বাতিল করতে। পরেরদিন আসবেন তিনি। আর তা বলে চলে যান।
কদিন আগে সলমনের নামে কিছুটা এরকমই অভিযোগ করেন সিকন্দর-পরিচালক মুরুগাদোস। বলেন, ‘একজন তারকাকে নিয়ে শুটিং করা সহজ নয়। এমনকি দিনের দৃশ্যেও, আমাদের রাতে শুটিং করতে হত, কারণ তিনি রাত ৮টার আগে সেটে আসতেন না। আমরা এমন মানুষ যারা ভোর থেকেই শুটিং করতে অভ্যস্ত, কিন্তু সেখানে জিনিসগুলি এভাবে চলে না। প্রায় সবকিছুই সবুজ ম্যাটে শুটিং করা হয়েছিল এবং রাতে শুটিং করা দৃশ্যগুলির জন্য দিনের আলোর প্রভাব পেতে আমরা ব্যাপকভাবে ভিএফএক্স ব্যবহার করেছি।’