মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও উগ্র ডানপন্থী চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। চার্লি কার্কের বয়স ছিল মাত্র ৩১ বছর। ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই হামলা চালানো হয়। সেখানে তাঁকে গুলি করা হয়। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কার্ককে। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যু হয়। ট্রাম্প তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। কার্ককে তরুণ মার্কিনিদের 'হৃদস্পন্দন' বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। এদিকে এই ঘটনার জন্য কট্টর বামপন্থীদের দায়ী করেন ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: ৯/১১ ভুললে চলবে না, রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে লাদেন খোঁচায় পাকিস্তানকে ধুলেন ভারতীয় দূত)
আরও পড়ুন: ‘তোমাদের বর্ণবাদ দূর করতে সাহায্য করব’, ইউরোপীয় দেশকে মুখের ওপর বার্তা ভারতের
এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, 'মহান ও কিংবদন্তি চার্লি কার্ক এখন আর আমাদের মধ্যে নেই। আমেরিকার তারুণ্যের হৃদস্পন্দন তাঁর চেয়ে ভালো আর কেউ বুঝত না। তিনি সবার কাছে প্রিয় ও সম্মানিত ছিলেন, বিশেষ করে আমার কাছে। তিনি এখন আর আমাদের মাঝে নেই।' এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমেই ভাইরাল হচ্ছে। দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকবাজদের হামলার পরপর ঘটনা নিয়ে কার্ককে একজন প্রশ্ন করছেন। প্রশ্নকর্তা কার্কের উদ্দেশে বলেন, 'আপনি কি জানেন যে গত ১০ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কতজন গণ শ্যুটার ছিল?' আর সেই সময়ই ভিডিয়োতে দেখা যায়, ঘাড় ধরে চেয়ার থেকে পড়ে যান কার্ক। দ্বিতীয় এক ক্লিপে তাঁর গলা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের নেতারাই এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন এবং কার্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, 'আমাদের সবার উচিত চার্লি কার্কের জন্য প্রার্থনা করা, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। তিনি একজন মহান মানুষ ছিলেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।' মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সও লিখেছেন, 'চার্লি কার্কের জন্য প্রার্থনা করুন। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ ছিলেন।' এফবিআইয়ের পরিচালক কাশ প্যাটেল জানিয়েছেন, এফবিআই ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তাঁর কথায়, 'আমাদের সমবেদনা রইল চার্লির পরিবার, তাঁর প্রিয়জনদের সঙ্গে। এই ঘটনায় প্রত্যেক দোষীকে ধরা হবে।' কার্কের মৃত্যু আমেরিকান রাজনৈতিক মহলে বিশেষ করে ডানপন্থী সমর্থকদের মধ্যে গভীর ধাক্কা সৃষ্টি করেছে। তিনি টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-র মতো যুব সংগঠনের মাধ্যমে মার্কিন তরুণদের সাথে মিশতেন এবং প্রচার চালাতেন। ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমর্থকদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।