সোমবারই দিল্লিতে গিয়ে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রীর আইনজীবী। মিমি-সহ বেশ কয়েক জনকে বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত মামলায় তলব করেছে ইডি। রবিবারই সেই খবর প্রকাশ্যে আসে। তালিকায় বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রৌতেলাও রয়েছেন। কদিন আগে ডাক এসেছিল অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার।
সোমবার ইডি-র অফিসে ঢোকার আগে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেননি মিমি। বরং ইডি দফতরের সামনে গাড়ি থেকে নামার পর সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন এবং কিছু বলার অনুরোধ করলে জবাব আসে, ‘ইডি দফতরের সামনে গাড়ি থেকে নামার পর সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন’।
এই বেটিং অ্য়াপ সংক্রান্ত মামলাতে ডাক পড়েছে অঙ্কুশ হাজরারাও। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। অঙ্কুশকে এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর কর্নাটকে হাজিরার কথা জানিয়ে সমন পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ, অবৈধ অনলাইন বেটিং অ্যাপের প্রচারের সঙ্গে নাকি জড়িত ছিলেন অভিনেতা।
বেআইনি বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত মামলায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সেই তালিকায় দক্ষিণী তারকা রানা ডগ্গুবতী, কপিল শর্মা, বিজয় দেবরাকোন্ডা-সহ একাধিক নামজাদা তারকাদের নাম আছে।
এদিকে এসবের মাঝেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ করলেন কটাক্ষ। একটি পোস্টে লেখেন, ‘মিমিকে ইডির নোটিস। আইন আইনের পথে চলবে। নোটিস নিয়ে আমি বলার কেউ নই। তবে রক্তবীজ ২ ছবির প্রমোশনে সাহায্য করার জন্য বাংলা ছবির দর্শকের তরফ থেকে এজেন্সিকে ধন্যবাদ। শিবুরা তো ইভেন্টের জন্য নানা সংস্থাকে নামিয়েছে। কে জানে বাবা কার কী কৌশল! ছবি সুপারহিটের পর মিমিও ওদের ধন্যবাদ দেবে।’
যদিও কমেন্ট বক্সে চোখ রেখে দেখা গেল, কুণাল ঘোষকে পালটা কটাক্ষ নেটপাড়ার। কেউ তাঁর সেই জেলযাত্রার ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন। একজন আবার লিখেছেন, ‘কুনাল দা ইডি কে খুব মিস্ করছে বোঝাই যাচ্ছে। আসলে অনেকদিন প্রিজন ভ্যান চাপড়ানো হয়নি তো’। আরেকজন লেখেন, ‘এই লোকটা নিজেই চায় যে ,সবাই একে গালাগালি করুক। তাই সবার পিছনে লেগে থাকে।’