৪৪-এর গণ্ডি ছুঁয়েও পুরুষ হৃদয়ের ধুকপুকানি বাড়ান স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। টলিপাড়ার অন্যতম খ্যাতনামী এখন নাম করেছেন বলিউডেও। স্বস্তিকা মানে বরাবরই আনকাট। রাখঢাকহীন কথা বলার জন্যই পরিচিত এই সুন্দরী। নিজের ব্যক্তিগত জীবন হোক বা সোশ্যাল ইস্যু খোলা মনে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেন না তিনি। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন নিজের আক্ষেপের কথা।
রবিবার ফেসবুকের দেওয়ালে অভিনেত্রী লেখেন, ‘কোনদিন একটা সুস্থ হেডলাইন দেখলাম না, মানে নরমাল হেডলাইন। কিছু বললেই সে একটা সাধারণ মন্তব্য হলেও - ফেটে পড়লেন স্বস্তিকা….গর্জে উঠলেন স্বস্তিকা….বোমা ফাটালেন স্বস্তিকা….বিস্ফোরণ ঘটালেন স্বস্তিকা’। হ্যাঁ, সংবাদমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে যে সকল শিরোনাম লেখা হয় তাতে বেজায় বিরক্ত অভিনেত্রী। স্পষ্টই বললেন, ‘মাই নেম ইস স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এন্ড আই অ্যাম নট বুড়িমা’।
স্বস্তিকার এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে বাহবার বন্যা। অভিনেতা জয়জিৎ লেখেন, ‘ওহ মা গো মা not বুড়িমা’। একজন ভক্ত লেখেন, ‘এটা কিন্তু সেরা ছিল’। অপর এক নেটিজেন লেখেন,'দিদি তুমি কিন্তু সত্য়িই বোমা, বম্বশেল যাকে বলে আর কী'।
এই বিষয় নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে এক অতীত সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি কথা বলেছিলেন নায়িকা। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বিতর্ক আর বিস্ফোরক শব্দ তো স্বস্তিকাতে ঘিরে রয়েছে। প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই অভিনেত্রী বলেছিলেন,'আমি যদি গাজা নিয়ে কথা বলি, সেটা নিয়ে কাগজে কেউ লিখল- ‘গাজা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন স্বস্তিকা’। এটা কি বিস্ফোরক? বিস্ফোরণ তো সত্যি সেখানে হচ্ছে। নিজের সুবিধার জন্য কাগজের লোকজন ওইসব বিস্ফোরক, বিতর্ক শব্দগুলো জুড়ে দেয়। আমার বলা কথাগুলো খুব সাধারণ। আমি অসাধারণ কোনও কথা বলি না বিশ্বাস করুন।'
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সংবাদকর্মীদের একটা বড় দায়িত্ব থাকে আম জনতার সামনে কোনও খবরকে কীভাবে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আর আমি তো মনে করি, পাবলিক ফিগাররা জনগণের বাবার সম্পত্তি। আমাদের নিয়ে যখন খুশি যা ইচ্ছে বলাই যায়। আমি এটা অনেকদিন আগেই মেনে নিয়েছি। এটা নিয়ে আর মাথাব্য়াথা নেই। ৪০-এর উর্ধ্বে বয়স মানে, অর্ধেক জীবন তুমি বেঁচে ফেলেছো। লোক আমাকে নিয়ে কী বলল, কী লিখল সেটা নিয়ে যদি পড়ি থাকি তাহলে বাঁচব কখন?’