প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও স্কুল যাচ্ছিলেন শিক্ষক রাকেশ কুমার। সদ্য তিনি বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ করে স্কুল শিক্ষক পদে নিয়োজিত হন। কিন্তু মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার পথে হঠাৎ গায়েব হয়ে যান রাকেশ কুমার। এরপরেই পরিবারের অভিযোগ করেছে, তাঁকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, অপহৃত শিক্ষক কুশেশ্বরস্থান থানা এলাকার চাতরা গ্রামের বাসিন্দা। দ্বারভাঙার জামালপুর থানা এলাকার ধাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। স্কুলে যাতায়াতের সুবিধার্থে চাতরা গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন রাকেশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাকেশ স্কুলে না পৌঁছালে প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার ওই শিক্ষককে ফোন করেন। কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ আসছিল।পরে, তার পরিবারকে বিষয়টি জ্ঞান হলে, তাঁরা অভিযোগ করেন, বিয়ের জন্য অপহরণ করা হয়েছে রাকেশকে। এরপরেই ওই শিক্ষকের পরিবার থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশও। মোবাইলের লোকেশন খতিয়ে দেখে পুলিশের অনুমান, ওই শিক্ষককে সমস্তিপুর জেলার বিথান এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে। পরিবার এবং পুলিশের সন্দেহ, বিয়ের উদ্দেশ্যে ওই শিক্ষিককে অপহরণ করা হয়েছে।এই গোটা ঘটনা বিহারের স্থানীয় পরিভাষায় ‘পকড়ওয়া বিবাহ’ নামে পরিচিত। কাউকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়েকে বিহারে পাকড়ওয়া বিবাহ বলা হয়। স্থানীয়দের মধ্যে এমন নামেই এই বিয়েকে আখ্যা দেওয়া হয়।
জামালপুর থানার ইনচার্জ রাহুল কুমার বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে অনুমান শিক্ষকের অপহরণের ঘটনাটি বিয়ে এবং প্রেমের সঙ্গে সম্পর্কিত। শিক্ষকের পরিবার এই বিষয়ে অপহরণকারীদের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলেন। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।' অপহরণের ঘটনায় ১৩৭ (২) ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই শিক্ষককে নিরাপদে নিরাপদ ফিরিয়ে আনতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।