রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির কাছ থেকে আরও একটি পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনাটি বাঁকুড়ার। সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত চলে গেল এবার তৃণমূলের দখলে। এই পঞ্চায়েতের এক বিজেপি সদস্যা তৃণমূলে যোগদানের ফলে এই পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় ষষ্ঠ অর্থ কমিশনের রিপোর্ট জমা, দিল্লি সফরে রাজ্যের প্রতিনিধি দল
গত গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে ৯ আসনের মধ্যে ৫টি আসনে জিতে মানিকবাজারে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল জিতেছিল ৪টি আসনে। সেই হিসেবে এতদিন এই পঞ্চায়েত ছিল বিজেপির নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বিজেপি টিকিটে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা শ্যামলী লোহার হঠাৎই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে সংখ্যালঘুতে নেমে আসে বিজেপি। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, আগামী দশ দিনের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব এনে এই পঞ্চায়েতের দখল তারা নেবে। একই দিনে সোনামুখীর পূর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেও বিজেপির আরও দুই সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যদিও ২৩ আসনের ওই পঞ্চায়েতে বিজেপির সদস্য সংখ্যা এখনও ১৬ থাকায়, আপাতত সেই পঞ্চায়েত রয়ে গেছে বিজেপির হাতেই। তবে দলবদল যে গেরুয়া শিবিরে চাপ বাড়াচ্ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দলবদলের কারণ হিসেবে শ্যামলী লোহার জানান, বিজেপিতে থেকে এলাকার উন্নয়নের কাজ করা যাচ্ছিল না। মানুষ প্রশ্ন তুলছিলেন। তাই উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। একই সুরে নতুন যোগ দেওয়া অপর দুই সদস্যও অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপির দলে থেকে তাঁরা কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলা সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছিলেন না। তাই স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।
অন্যদিকে বিজেপি এই ঘটনাকে স্বেচ্ছায় দলবদল হিসেবে মানতে নারাজ। সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দলে টানা হচ্ছে। এভাবে পঞ্চায়েত দখল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।