বালিপাচার কাণ্ডে আজ একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি। এর মধ্যে অন্যতম স্থান হল কলকাতার রিজেন্ট কলোনি। জানা গিয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার এজেন্ট সঞ্জীব বয়েডের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ, পেশায় বিমা এজেন্ট হলেও এই সঞ্জীব নাকি বালি পাচারের কালো টাকা সাদা করার নেপথ্যে ছিল। এই আবহে মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথিপত্র। মনে করা হচ্ছে, ঝাড়গ্রামের বালি ব্যবসায়ী জহিরুলের কালো টাকা বিমাতে বিনিয়োগ করত এই সঞ্জীব। (আরও পড়ুন: ভোটের আগে বড় উপহার! হাওড়া-NJP বন্দে ভারতে বড় পরিবর্তন)
আরও পড়ুন: সপ্তাহের প্রথমদিনই অফিসটাইমে চরম ভোগান্তি, ২টি স্টেশনের মাঝে আটকে থাকল মেট্রো
এদিকে জহিরুলের বাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝাড়গ্রামে বালি ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে ১২ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। এদিকে টাকা গোনার কাজ এখনও জারি আছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সেই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন অফিসাররা। উল্লেখ্য, আজ সকাল সকাল বালিপাচার কাণ্ডের তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। বাংলার একাধিক জায়গায় আজ ভোর হতে না হতেই হানা দেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। এই প্রথম বালিপাচার মামলায় সক্রিয় হয়েছে ইডি। রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ সকাল সকাল ঝাড়গ্রাম ও বেহালায় অভিযান চালান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের আধিকারিকরা। (আরও পড়ুন: SSC পরীক্ষা তো হল, তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াও কি বাতিল হবে? সামনে এল নয়া দাবি)
আরও পড়ুন: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামি রাষ্ট্র করার ছক, ছাঙ্গুর বাবার নামে চার্জশিট
এদিকে জহিরুলের বাড়ি হল ঝাড়গ্রামে গোপীবল্লভপুরে সুবর্ণরেখা নদীর তীরে। অভিযোগ, তিনতলা এই বাড়ির মালিক জহিরুল নাকি দীর্ঘদিন ধরে সুবর্ণরেখা নদী থেকেই বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এই জহিরুল নাকি আগে ভিলেজ পুলিশে ছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে বালির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এহেন জহিরুলের বাড়িতে সার্চ ওয়্যারেন্ট নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। সব মিলিয়ে ইডির মোট ৪-৫টি টিম তদন্তে নেমেছে একযোগে। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।
এই আবহে ঝাড়গ্রাম ছাড়াও বেহালার জেমস লং সরণীতেও একটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। সেই বাড়িতে ডিজি মাইনিং নামক একটি সংস্থার অফিস রয়েছে। তারাও বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংস্থার আরও একটি অফিস রয়েছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। সেখানেও তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। দাবি করা হচ্ছে, এই ডিজি মাইনিংয়ের হয়েই নাকি কাজ করত জহিরুল।