উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে ধর্মান্তরণের চক্রের সঙ্গে জড়িত ধর্মগুরু জালালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবা নাকি ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছিলেন। অবৈধ গণ ধর্মান্তরণ মামলায় চার্জশিট পেশ করে এমনটাই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড। ২৯ জন সাক্ষীর বক্তব্য রয়েছে এই চার্জশিটে। এদিকে ধর্মান্তরিত করার নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আছে ছাঙ্গুর বাবার ছেলে মেহবুব এবং তার সহযোগী নবীন রোহরার বিরুদ্ধে। ছাঙ্গুর বাবার এই নেটওয়ার্কের যোগ ছিল দুবাইতেও। (আরও পড়ুন: 'পর্যাপ্ত খাবার, ২৪x৭ চিকিৎসা...', মেহুলকে দেশে ফেরাতে বেলজিয়ামকে আশ্বাস ভারতের)
আরও পড়ুন: ভারতের GDP-র ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে মার্কিন ৫০% শুল্ক? সত্যিটা সামনে আনল সরকার
উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই এটিএস ছাঙ্গুর বাবা এবং তার সহযোগী নীতু ওরফে নাসরিনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই সময় জানা যায়, এক বছরে ১০০ কোটি টাকার লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত এই ছাঙ্গুর বাবা। তিন দিন পর দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ইডি। ছাঙ্গুর বাবার একাধিক সম্পত্তিতে অভিযান চালায় ইডি। বলরামপুর জেলার উত্তরোলা এবং মুম্বইতেও হানা দিয়েছিল ইডি। (আরও পড়ুন: ট্যারিফ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হারলে টাকা ফেরাতে হবে ট্রাম্প প্রশাসনকে?)
আরও পড়ুন: ভারত বিরোধী পোস্ট ফ্ল্যাগ করা উচিত? X-এ প্রশ্ন করে মুখ পুড়ল ট্রাম্পের উপদেষ্টার
বলরামপুর জেলার বাসিন্দা জামালউদ্দিন এক সময়ে সাইকেলে করে আংটি এবং তাবিজ বিক্রি করত। গ্রেফতারির সময় তার ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০৬ কোটি টাকা ছিল। মূলত পশ্চিম এশিয়া থেকে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকত বলে দাবি করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন স্কোয়াড (এটিএস) তদন্ত করে দেখছে যে, জামালউদ্দিনের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র আছে কিনা। ইউপি স্পেশাল টাস্ক ফোর্সও এই মামলার তদন্ত করছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলরামপুরের স্থানীয় পুলিশ। এছাড়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও ছাঙ্গুর বাবার আয়-ব্যয়ের হিসেব বের করার জন্য একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছিল, ধর্মান্তরণের জন্য দরিদ্র, অসহায় শ্রমিক, দুর্বল শ্রেণির এবং বিধবা মহিলাদের প্রলোভন, আর্থিক সাহায্য, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করা হত। অনেক সময় ভয় দেখিয়েও ধর্মান্তরণে বাধ্য করা হত। এই আবহে কে কে ছাঙ্গুর বাবাকে টাকা পাঠিয়েছিল, কত টাকা পাঠিয়েছিল এবং কী কারণে পাঠিয়েছিল, সমস্ত দিক তদন্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।
এরপরই জানা যায়, ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা ছিল এই ধর্মগুরুর। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তার জাল ছড়ানো ছিল। ধর্মীয় কার্যকলাপের আড়ালে চলত অনৈতিক কাজকর্ম। অভিযোগ, জোর করে অথবা প্রলোভন দেখিয়ে ১৫০০ জনেরও বেশি হিন্দু মহিলা এবং আরও কয়ের হাজার অমুসলিমকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছিল এই ছাঙ্গুর বাবা।