শারদ উৎসবের আগে পুজো প্রস্তুতিকে ঘিরে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ কলকাতা। রবিবার দুপুরে লেক গার্ডেন্সে দু’টি পুজো কমিটির মধ্যে ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দক্ষিণ লেকপল্লি সংহতি ক্লাব এবং প্রগতি সঙ্ঘের সদস্যদের মধ্যে মারপিট বাঁধে। এই বিরোধের পিছনে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। (আরও পড়ুন: সপ্তাহের প্রথমদিনই অফিসটাইমে চরম ভোগান্তি, ২টি স্টেশনের মাঝে আটকে থাকল মেট্রো)
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি কলেজে TMCP-র গোষ্ঠী সংঘর্ষ, ৪ নেতাকে শোকজ, ভাঙা হল ইউনিট কমিটি
দক্ষিণ লেকপল্লির ক্লাব সদস্যদের দাবি, তাঁদের পুজোর ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে প্রতিপক্ষ ক্লাবের কর্মীরা। শুধু তাই নয়, হঠাৎ চড়াও হয়ে তাঁদের মারধরও করা হয়। তবে প্রগতি সঙ্ঘের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ, আসলে প্রথমে সংহতি ক্লাবের সদস্যরাই তাঁদের ব্যানার ছিঁড়েছিলেন, তার জেরেই এ দিনের গোলমাল। এই বিরোধের পেছনে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের অভিযোগও উঠছে। সংহতি ক্লাবের সদস্যরা সরাসরি অভিযোগ করছেন ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, মৌসুমী দাসের উস্কানিতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য, দক্ষিণ লেকপল্লি ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর রতন দে। ফলে বর্তমান ও প্রাক্তন জনপ্রতিনিধির দ্বন্দ্বের প্রভাবেই ক্লাবের অশান্তি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। (আরও পড়ুন: SSC পরীক্ষা তো হল, তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াও কি বাতিল হবে? সামনে এল নয়া দাবি)
আরও পড়ুন: ভোর হতে না হতেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা ইডির, অভিযান চলছে বালিপাচার মামলায়
যদিও প্রগতি সঙ্ঘের এক সদস্য স্পষ্ট জানান, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের কাউন্সিলর কখনই চান না যে ওয়ার্ডে গোলমাল হোক। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। আসল সত্যি হল, তারা ভুল জায়গায় এই এলাকায় ব্যানার লাগিয়েছে। সেক্রেটারি মীমাংসা করতে চাইলেও, কিছু যুব নেতা বারবার উস্কানি দিয়ে ঝামেলাটা বাড়িয়েছে। সংহতি ক্লাবের অভিযোগ, প্রগতি সঙ্ঘ তাঁদের স্থায়ী কাঠামোর উপরে নিজেরা নতুন কাঠামো বেঁধে দেয়। বিষয়টি থানায় জানানো হলে বিধায়ক দেবাশিস কুমার এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে আপাতত সমস্যা মিটেছিল। অভিযোগ, রবিবার ফের প্রগতি সঙ্ঘের সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্যাপক হাতাহাতি শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। প্রশাসনের তরফে আপাতত দুই ক্লাবকেই শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।