সাহারা ইন্ডিয়ার আর্থিক জালিয়াতি মামলা নতুন মোড় নিল। প্রয়াত সাহারা কর্তা সুব্রত রায়ের স্ত্রী স্বপ্না রায় এবং ছেলে সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শনিবার কলকাতার বিশেষ পিএমএলএ আদালতে তদন্তকারীরা এই চার্জশিট দাখিল করেছেন বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ৫ গুণ টাকা পেতে পারেন সাহারার আমানতকারীরা! ১০ দিনে কেন্দ্র ফেরাবে ১,০০০ কোটি
ইডি’র নথি অনুযায়ী, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন স্বপ্না রায় ও সুশান্ত রায়ের পাশাপাশি জেপি ভর্মা, অনিল আব্রাহাম-সহ আরও কয়েকজন। তবে সুব্রত রায়ের আর এক ছেলে সীমান্ত রায়ের নাম চার্জশিটে ওঠেনি। সীমান্ত সাহারা প্রাইম সিটির ডিরেক্টর হলেও, তদন্তকারীদের দাবি, প্রাথমিক প্রমাণে তাঁর সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য মেলেনি। জানা যাচ্ছে, একাধিকবার সমন পাঠিয়েও হাজিরা দেননি সুশান্ত রায়। বরং তদন্ত এড়িয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ।
ইডি’র অভিযোগ, সাহারার আর্থিক কেলেঙ্কারির নেপথ্যে স্বপ্না ও সুশান্তের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। সুব্রত রায়ের জীবদ্দশায় তৈরি হওয়া আর্থিক কাঠামোর মধ্যেই এই অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। প্রসঙ্গত, সাহারা ইন্ডিয়ার আর্থিক অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলায় ইতিমধ্যেই বহুবার তদন্ত হয়েছে। তবে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে অভিযান চালিয়ে নতুন কিছু নথি ও প্রমাণ হাতে পায় ইডি। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই নতুন করে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর বিষয়টি ফের চর্চায় এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, সুব্রত রায়ের মৃত্যুর পরেও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত কেন জোরদার হচ্ছে? ইডি’র মতে, সাহারার ছাতার তলায় বহু বিনিয়োগকারীর অর্থ আটকে রয়েছে। সেই অর্থের গতিপথ খুঁজতেই পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বর্তমানে সুশান্ত রায় ফেরার বলে জানাচ্ছে ইডি। ফলে তদন্ত আরও জটিল হয়ে উঠছে। অন্যদিকে, স্বপ্না রায়ের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকার অভিযোগ স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে তদন্তকারী সংস্থা। এখন আদালতে পরবর্তী শুনানির দিকেই নজর বিনিয়োগকারীদের।