আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই শহর জুড়ে শুরু হবে দুর্গাপুজোর উৎসব। সেই ভিড় সামলানো থেকে শুরু করে প্যান্ডেল, ট্রাফিক ও নিরাপত্তা সবকিছু যাতে নির্বিঘ্নে হয়, তার জন্য বড়সড় প্রস্তুতিতে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ বৈঠক। শহরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা নিজে এই বৈঠক পরিচালনা করবেন।
আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে চুরি ছিনতাই আটকাতে আটকাতে বিশেষ অভিযান পুলিশের, সাইকেলে টহল
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কলকাতার সব থানায় বিস্তারিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তবে সাধারণ বৈঠক নয় মূলত কলকাতার বড় পুজো কমিটিগুলির উদ্যোক্তাদের ডাকা হয়েছে এই আলোচনায়। শহরের ১০টি পুলিশ ডিভিশনের প্রতিটি থেকে নির্বাচিত বড় পুজো কমিটি দু’জন প্রতিনিধি পাঠাবে। ফলে প্রায় ১,৫০০ উদ্যোক্তার সমাগম হবে ধনধান্যে। শুধু উদ্যোক্তারাই নন, এই বৈঠকে হাজির থাকবেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিক, সিইএসসি, দমকল, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। এছাড়াও শহরের সব থানার ওসি, এসি এবং ডিসিরাও উপস্থিত থাকবেন।
বৈঠকের এজেন্ডা স্পষ্ট, অনলাইনে অনুমতি নেওয়ার পদ্ধতি, আদালতের নির্দেশিকা মানা, চাঁদা আদায়ের নিয়ম, প্যান্ডেল নির্মাণে বিধিনিষেধ, শব্দদূষণ, প্রতিমা বিসর্জনের সময়সূচি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর সময় প্রতিবছর ভিড় নিয়ন্ত্রণ, গাড়ি চলাচল, শব্দদূষণ ও চাঁদা সংক্রান্ত অভিযোগ প্রশাসনের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ বছর থেকেই অনলাইন পারমিট প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা যেন শেষ মুহূর্তে জটিলতায় না পড়েন, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কমিশনার উদ্যোক্তাদের স্পষ্ট বার্তা দেবেন, আইন বা আদালতের নির্দেশিকা অমান্য করলে কোনওরকম ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে তিনি উৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের উপর জোর দেবেন। দুর্গোৎসব কমিটির একজন সদস্য জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী আগেই কী করণীয় সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। কমিশনার ডেকেছেন, তাই যাবেন। একইসঙ্গে, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু প্রস্তাবও পুলিশের কাছে তুলে ধরা হবে।