উৎসব পরিণত হল বিষাদে। গণেশ নিরঞ্জনের দিন মর্মান্তিক ঘটনা মহারাষ্ট্রে। বিভিন্ন জেলায় পৃথক ঘটনায় কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৩ জন। তাঁদের খোঁজে ইতিমধ্যেই রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল নামানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা! ঝাড়খণ্ডে এনকাউন্টারে খতম কুখ্যাত মাওবাদী নেতা
বানিজ্য নগরী মুম্বই-মহারাষ্ট্রে ধুমধাম করে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে উৎসবের সময়ে। তবে এবার সেই উৎসবের মাঝেই ফের একবার বিপত্তি ঘটল বিসর্জনে।সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি পুণেতে। চাকন এলাকার বিভিন্ন স্থানে আলাদা ঘটনায় চারজন ভেসে গিয়েছেন। ওয়াকি খুরদে ভামা নদীতে দুই ব্যক্তি ভেসে যান। শেল পিম্পলগাঁওয়ে আরও একজন ভেসে যান। পাশাপাশি বিরওয়াড়ি এলাকায় এক ব্যক্তি পড়ে যান কুয়োয়। প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে দু'জনের। বাকিদের খোঁজ চলছে জোরকদমে। অন্যদিকে, নান্দেড জেলার গাদেগাঁও এলাকায় নিরঞ্জনের সময় নদীতে ভেসে যান তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দুই জন। একইসঙ্গে নাসিকের সিন্নর এলাকায় চারজন ভেসে যাওয়ার খবর মিলেছে। তাঁদের মধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার করেছেন আধিকারিকরা। এদিকে, জলগাঁও জেলায়ও পৃথক ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন-মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা! ঝাড়খণ্ডে এনকাউন্টারে খতম কুখ্যাত মাওবাদী নেতা
থানে জেলায় নিরঞ্জনের সময় তিনজন ভেসে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, অমরাবতীতে এক ব্যক্তি নিরঞ্জনের সময় জলে তলিয়ে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে নদী-নালা, হ্রদ এবং অন্যান্য জলাশয়ে জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যার জেরেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।এদিকে, জোয়ারে আটকে যায় মুম্বইয়ের বিখ্যাত লালবাগচা রাজা নিরঞ্জন। সাধারণত সকাল ৯টার আগেই দক্ষিণ মুম্বইয়ের গিরগাঁও চৌপাটিতে সমুদ্রে নিরঞ্জন দেওয়া হয়। কিন্তু এবার আরব সাগরে হঠাৎ জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় গভীর সমুদ্রে মূর্তিটি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। শনিবার থেকে শুরু হওয়া নিরঞ্জন শোভাযাত্রা রবিবার ভোরে গিরগাঁও চৌপাটিতে পৌঁছয়। তখনই প্রবল জোয়ারে জলস্রোতের ধাক্কায় নিরঞ্জন প্ল্যাটফর্ম ভেসে যেতে থাকে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে কয়েক ফুট গভীর জলে আটকে ছিল মূর্তিটি। ১৫-২০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও জেলেরা প্রাণপণে মূর্তির ভারসাম্য বজায় রাখেন। তবে তাতেও নিরঞ্জন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়ে যায়।