ইউক্রেনের সরকারি ভবনে হামলা চালাল রাশিয়া। ইউক্রেন বিমান বাহিনীর দাবি, এক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে ৮০০টি ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। এই ঘটনার জেরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ জন একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে ছিল।
কিয়েভের মন্ত্রীসভা ভবনের ছাদ থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গিয়েছে। ধোঁয়াটি সরাসরি আঘাতের জন্য না ধ্বংসাবশেষের কারণে, তা স্পষ্ট নয়। সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, রাশিয়ার বিমান আক্রমণ আরও তীব্র হতে পারে।কিয়েভের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ইউক্রেনের মন্ত্রিদের বাসভবন। ওখানে মন্ত্রীদের অফিসও রয়েছে। দমকলের গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্স আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ভবনে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেয়। রাশিয়া এখনও পর্যন্ত শহরের কেন্দ্রস্থলে সরকারি ভবনগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা এড়িয়ে চলেছে। এই প্রথমবার এমন গুরুতর আক্রমণ হানল রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্বেরিডেনকোর কথায়, ‘এই প্রথমবার শত্রুর আক্রমণে ইউক্রেনের সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ভবনগুলি পুনরুদ্ধার করব, কিন্তু হারিয়ে যাওয়া প্রাণগুলো তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।’
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত সংবাদসংস্থা এপি (অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস)-কে নিশ্চিত করেছেন, রবিবারের আক্রমণটি ছিল ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় রাশিয়ান ড্রোন হামলা। রাশিয়া বিভিন্ন ধরণের ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্রও ছুঁড়েছে। ইউক্রেন ইতিমধ্যেই পালটা হামলা করেছে।
রাশিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, ইউক্রেন রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে দ্রুজবা তেল পাইপলাইনে আক্রমণ করেছে। রবিবার মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ড্রোন বাহিনীর কমান্ডার রবার্ট ব্রোভদি বলেছেন, এই হামলার ফলে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। তার জেরে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাশিয়ার তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ট্রানজিট পাইপলাইনটি হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়ায় রাশিয়ার তেল সরবরাহ করে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণের পর অন্যান্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু এই দুটি দেশ রাশিয়া থেকে এখনও জ্বালানি কিনে চলেছে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।