রাত হলেই সে আসত। প্রথম প্রথম পাত্তা না দিলে কী হবে, সে যে নাছোড়াবান্দা! ধীরে ধীরে পটিয়ে ফেলল এলিজাবেথকে। আর তার পর সম্পর্ক। কিছু দিন কাটার পর রোমান্স। এলিজাবেথ তাঁর বইয়ে লিখেছেন, মানুষের থেকেও ভালো আচরণ ছিল ওঁর (অর্থাৎ এলিয়েন প্রেমিকের)! অগত্যা তাঁর প্রেমে পড়তে বাধ্যই হন এলিজাবেথ। কিছু দিন বাদে গর্ভবতী হয়ে যান। কয়েক মাস পর পুত্রসন্তানের জন্ম দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওই তরুণী। তাঁর কথায়, এলিয়েন মানেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তারা ভিনগ্রহের জীব হতে পারে। কিন্তু তারা শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা নিয়েই আসতে চেয়েছে বারবার!
কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?
সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ আগে সৌরমণ্ডলের কাছাকাছি দেখা গিয়েছে একটি ধূমকেতু। প্রায় ৭৫০ কোটি বছরের পুরনো ধূমকেতু অ্যাটলাস বিজ্ঞানীদের কাছে এখন প্রধান আগ্রহের বস্তু। কারণ এর গতানুগতিক পুচ্ছ নেই, যা অন্যদের থাকে। এখনও পর্যন্ত পৃথিবী দুটো ধূমকেতু দেখেছে। একটি ওউমুয়ামুয়া ও অন্যটি বরিসভ। সেই হিসেবে তৃতীয়টি হল অ্যাটলাস। যেভাবে এটি আবর্তন করছে, মনে করা হচ্ছে এটি সূর্যের দিকে এগিয়ে আসতে চলেছে। আর এই গোটা ঘটনাকে ভিত্তি করে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে ভিনগ্রহের জীব তত্ত্ব।
আরও পড়ুন - স্বাধীনতা দিবসে পরিচিতদের শুভেচ্ছা জানাতে কী লিখবেন?ভাবনা নেই, রইল ১০ সেরা মেসেজ
কেন মাথাব্যথা বিজ্ঞানীদের?
অনেকেই মনে করছেন, ফের কোনও এলিয়েন আক্রমণ করতে পারে পৃথিবীর উপর। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এভি লয়েব তো বলেই দিলেন, বিশ্বের সব সরকারের যৌথভাবে ঠিক করা উচিত, এর কীভাবে মোকাবিলা করা হবে। যদিও তিনি এলিয়েন তত্ত্বের কথা মুখে আনেননি। তবে ধূমকেতুটি যেহেতু আর পাঁচটা ধূমকেতুর মতো নয়, তাই বিজ্ঞানীরাও কিছুটা ধন্দে রয়েছে।
আরও পড়ুন - জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় ভুলেও করবেন না এই ভুলগুলি, জানুন সঠিক নিয়ম
প্রেমিকের ছবি এঁকেছেন এলিজাবেথ
যদিও ওসব ধন্দের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন এলিজাবেথ। ১৯৫৯ সালে তাঁর সঙ্গে আলফা সেনটাউরির মেটন গ্রহের অ্যাকনের পরিচয় হয়। অ্যাকন নাকি স্টারশিপ কমান্ডার হিসেবে ল্যান্ড করেছিল তাঁর এলাকায়। এর পর পরিচয়। ধীরে ধীরে প্রেম ও ঘনিষ্ঠতা। এবং শেষে পুত্রসন্তান। ধূমকেতু বিশেষজ্ঞ এলিজাবেথ তাঁর প্রেমকাহিনি দুটো বইও লিখেছেন। তার মধ্যে অন্যতম ‘বিয়ন্ড দ্য লাইট ব্যারিয়র’! এঁকেছেন নিজের প্রেমিকের ছবিও। তাই তাঁর কথায়, এলিয়েন যদি আসেও, ভালোর জন্যই আসবে!