সোমবার ভোরে ফরিদাবাদের গ্রিন ফিল্ড কলোনির চারতলা ভবনে আগুন লাগার পর ছাদে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় এক দম্পতি, তাদের কিশোরী মেয়ে এবং তাদের পোষা কুকুর শ্বাসরোধে মারা যান। আর এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এসি বিস্ফোরণ!
পুলিশ জানিয়েছে যে দম্পতির ২৪ বছর বয়সী ছেলে আরিয়ান কাপুর পরিবারের একমাত্র সদস্য ছিলেন যিনি বেঁচে গিয়ে ছাদে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। নিহতদের নাম শচীন কাপুর (৫০), তার স্ত্রী রিঙ্কু কাপুর (৪৮) এবং মেয়ে সুজন কাপুর (১৩)। দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে কাপুর পরিবার ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন এবং ভোর ৩টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়, সম্ভবত প্রথম তলায় এয়ার কন্ডিশনারের কারণে, যেখানে মালিক পরিবার বাস করত।
এক অফিসার বলেন, শচিন, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে এবং তাদেরর কুুকুরকে সিঁড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। অফিসার বলেন, ‘তারা ধোঁয়ায় ভরা সিঁড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তবে ছেলে লাথি মেরে বারান্দার দরজার পাশের কাচের জানালা ভেঙে প্রতিবেশীদের সহায়তায় পাশের বাড়ির বারান্দায় লাফিয়ে পড়ে এবং এভাবে বেঁচে যেতে সক্ষম হয়।' দমকলকর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দূরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে দম্পতি এবং মেয়েকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে বিষাক্ত ধোঁয়া শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তাঁদের মৃত্যুর প্রধান কারণ বলে মনে হচ্ছে কারণ তাদের শরীরে কোনও পোড়া দাগ ছিল না। দম্পতির অন্যতম সন্তান আরিয়ান এখন আঘাত এবং ফ্র্যাকচার নিয়ে চিকিৎসাধীন।
( Lucky Zodiac Signs: দুর্গাপুজো ২০২৫র পরই মুখে হাসি ফোটার দিন আসছে ৩ রাশির! কৃপা করবেন শুক্র)
সুরজ কুণ্ড থানার স্টেশন হাউস অফিসার ইন্সপেক্টর প্রহ্লাদ সিং বলেন, সিঁড়ির জায়গাটি কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। তিনি বলছেন, ‘তারা পড়ে গিয়ে উঠতে পারেনি এবং দম বন্ধ হয়ে মারা যায়। এদিকে, ছেলেটি ছাদের দরজায় উঠে জানালার কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। যেখানে তিনজনকে পাওয়া গিয়েছিল সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় লেগেছিল। ততক্ষণে সম্ভবত অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’
দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে আগুন প্রথম তলার পুরো ফ্ল্যাটটিকে গ্রাস করে ফেলেছিল যার ফলে পুরো ভবনটি ঘন বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি কেবল এসির ত্রুটির কারণে ঘটেছে নাকি ক্ষতিগ্রস্ত তারের কারণে অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে ঘটেছে তা নিশ্চিত করার জন্য দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন।
(এই প্রতিবেদন এআই জেনারেটেড )