২০২৪ সাল সকলের জন্য যেমনই হোক না কেন, বেদাং রায়নার কাছে এই বছরটা ভীষণ স্পেশাল ছিল। ২০২৪ সাল অভিনেতাকে শিখিয়েছে ধৈর্য ধরতে, শিখিয়েছে অপেক্ষা করতে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমন কথাই বলে উঠলেন অভিনেতা।
চলতি বছর বেদাং এবং আলিয়া অভিহিত ‘জিগরা’ মুক্তি পেয়েছে বড় পর্দায়। বেদাং - এর কাছে এই অভিজ্ঞতা একেবারে নতুন। নিজেকে প্রথম বড় পর্দায় দেখে কেমন পাগল পাগল লাগছিল তাঁর। সব থেকে বড় কথা, আলিয়ার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে পেরেছেন তিনি। ভাসান বালা এবং করন জোহরের সাপোর্ট ছিল অভাবনীয়। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবিতেই এমনটা ঘটবে তা সত্যিই ভাবতে পারেননি বেদাং।
আরও পড়ুন: '২৪ বছর পরেও অডিশনে যাচ্ছি', ফের বলিউড প্রজেক্টে দেখা মিলবে স্বস্তিকার? ইঙ্গিত দিয়ে কী লিখলেন?
জিগরা প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘সিনেমাটি বক্স অফিসে খুব একটা ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। তবে একজন অভিনেতা হিসেবে একটি সিনেমায় এক বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করলে সেই সিনেমার প্রতি একটি ভালোবাসা কাজ করে। তখন আপনি চান আপনার সিনেমা দর্শকরা উপভোগ করুক, পছন্দ করুক। পর্দার আড়ালে একজন মানুষ যতটা কষ্ট করে, সেই কষ্টের মূল্য যেন মানুষ দিক সেটাই চায় অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে প্রযোজক পরিচালক সকলেই।’
২৪ বছর বয়সী অভিনেতা আরও বলেন, ‘২০২৪ আমাকে শিখিয়েছে অনেক বেশি ধৈর্য ধরতে। একটি সিনেমা বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন না করলেও যথাসম্ভব নিজেকে সংযত রাখাই হল আপনার কাজ। আপনি একজন শিল্পী। শিল্পী হিসাবে আপনার কাজ শুধু মানুষকে এন্টার্টনেট করা।’
আরও পড়ুন: আদিত্যর প্রেমে নিজেকে বদলেও মেলেনি সুখ! বছর শেষে নতুন প্রেমে সিলমোহর অনন্যার?
অভিনয়ের পাশাপাশি গান করতেও ভালোবাসেন অভিনেতা। ‘জিগরা’ সিনেমাতে বেদাং অভিনয়ের পাশাপাশি গানের সুযোগও পেয়েছিলেন। অভিনেতা বলেন, ‘আমার গান যে মানুষ পছন্দ করেছে তা জানতে পেরে সত্যি আমি আপ্লুত হয়ে ছিলাম। আমার অভিনয়ের যাত্রা যখন শুরু হয়েছিল তখনই আমি ভেবেছিলাম আমার গানের ক্ষেত্রেও যেন কিছু আমি করতে পারি। এই স্বপ্ন আমার পূরণ হয়েছে একই সিনেমায়। সত্যি আমি ভীষণ ভাগ্যবান। আমি দুটো গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। কোনওদিন ভাবিনি এইভাবে গান গাইতে পারব এবং মানুষ এতটা ভালবাসবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছর 'আর্চিস সিনেমার মাধ্যমে বেদাং অভিনয় জগতে পদার্পণ করেছিলেন। সিনেমাটি খুব একটা সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। দ্বিতীয় সিনেমাটিও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রত্যেকটি সিনেমা থেকে যে শিক্ষা পাচ্ছেন অভিনেতা, সেই শিক্ষাকেই সম্বল করে আগামী দিনে এগিয়ে যেতে চান তিনি।