মস্তিষ্কের জটিল রোগে আক্রান্ত সলমন, কী এই রোগ? কী সমস্যা হয়?

৬০ বছরের দোরগোড়ায় এসেও সলমন খান একদম ফিট এবং ফাইন। এখনও বলিউড কাঁপাচ্ছেন তিনি। কিন্তু জানেন কী বহুদিন ধরেই একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তিনি? কী এই রোগ? কী সমস্যা হয় এই রোগে?সম্প্রতি কপিল শর্মা শোয়ে এসেছিলেন সলমন। ভাইজানের সেই বিশেষ পর্ব সম্প্রচারিত হয় শনিবার নেটফ্লিক্স প্ল্যাটফর্মে। এই বিশেষ পর্বে জীবনের নানান বিশেষ দিক তুলে ধরতে দেখা যায় ভাইজানকে। বিয়ে এবং বিবাহ বিচ্ছেদ, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।এই আলোচনার মধ্যেই হঠাৎ তিনি জানান, একাধিক বিরল রোগে ভুগছেন তিনি। যদিও তাতে বিন্দুমাত্র হার মানতে নারাজ অভিনেতা। সমস্ত শারীরিক জটিলতা নিয়েই নিঃশব্দে কাজ করে চলেছেন ভাইজান। কিন্তু কি এই রোগ?আরও পড়ুন: টিজার মুক্তি পেতেই বিতর্কে দ্য বেঙ্গল ফাইলস, বিবেকের বিরুদ্ধে FIR তৃণমূল নেতারআরও পড়ুন: মনের মানুষের সঙ্গে প্যারিসে ভ্রমণ ঋতাভরীর, পোস্ট করলেন একগুচ্ছ ছবিসলমন বলেন, ‘প্রতিনিয়ত নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে চলেছি, প্রতিদিন কঠিন লড়াই করে চলেছি, এটা একেবারেই সহজ কথা নয়। আমার শরীরে এভি ম্যালফর্মেশন, ট্রাইজেমিনাল নিউরোলজিয়া এবং অ্যানেউরিজোম সহ একাধিক কঠিন রোগ বাসা বেঁধে রয়েছে। কিন্তু নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করে চলেছি।’ভাইজান আরও বলেন, ‘প্রতিদিন মনে হয় যেন শরীরের একটি করে হাড় ভেঙে যাচ্ছে, এতটাই কষ্ট হয় আমার। আর এই কারণেই আমি বিয়ে করতে রাজি নই। এই বয়সে এখনও পর্যন্ত যা রোজগার করেছি, তা যদি অন্য কেউ নিয়ে চলে যায় তা মানতে পারব না। নতুন করে উপার্জন করার সেই ক্ষমতা হয়তো আর নেই এখন।’ভাইজানের শরীরে যে রোগ বাসা বেধেছে তার মধ্যে ট্রাইজেমিনাল নিউরোলজিয়া হল একটি নার্ভের অসুখ, যা ভয়ঙ্করভাবে নার্ভকে প্রভাবিত করে এবং মুখমণ্ডলে প্রচুর যন্ত্রণা হয়। যন্ত্রণা এতটাই বেড়ে যায় যে মাঝেমধ্যে মুখের একপাশ বেঁকেও যেতে পারে।আরও পড়ুন: শুধু ‘সিতারে জামিন পর’ নয়, আমিরের এই ছবিগুলিও হলিউডের ছবির নকল! তালিকায় আছে কী কী?আরও পড়ুন: বাড়ি এক হলেও থাকেন আলাদা ঘরে, দুই দাদার পর কী এবার ভাঙতে চলেছে অর্পিতার সংসারও?এভি ম্যালফরমেশন রোগটি হল শরীরে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, যার ফলে শিরা এবং ধমনীতে অস্বাভাবিকভাবে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। সবথেকে ভয়ঙ্কর রোগ হলো ব্রেন অ্যানিউরিজম, যার ফলে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিকভাবে রক্ত জমে যায় এবং প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।২০১৭ সাল থেকে এই সমস্ত রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন অভিনেতা। ওই বছর টিউবলাইট সিনেমার প্রচারে দুবাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে এই রোগ প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। এক এক সময় যন্ত্রণা এতটাই বেড়ে যায় যে প্রাণ দিয়ে দিতে ইচ্ছা করে রোগীর। সমস্যা আরও বাড়ে যখন মেজাজ খারাপ থাকে বা মন খারাপ হয়।