পুজোর মুখে পর্যটকদের জন্য সুখবর। দীর্ঘ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে আবারও পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল। গোরুমারা ও জলদাপাড়া খুলে যাচ্ছে পর্যটকদের জন্য। আর পর্যটকদের স্বাগত জানাতে বনদফতর তৈরি করে রেখেছে বিশেষ আয়োজন। কটেজগুলি নতুন করে সাজানো হয়েছে, সাফারির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে কুনকি হাতি এবং জিপসি গাড়ি।
আরও পড়ুন: আবার প্রাণ পেতে চলেছে জলদাপাড়ার হলং বাংলো, বন হাতে পৌঁছল ডিপিআর
জানা যাচ্ছে, রং করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, মেরামত করা হয়েছে মেদলার ঐতিহ্যবাহী মহিষগাড়ি, যাতে পর্যটকদের নিয়ে জঙ্গলের ভেতরে ঘোরা যাবে। শুধু তাই নয়, জঙ্গল বন্ধ থাকার সময় গোরুমারায় একাধিক গণ্ডার শাবকের জন্ম হয়েছে। রামসাই অঞ্চলে ইতিমধ্যেই তাদের দেখা মিলছে। পাশাপাশি, মেদলা ক্যাম্পে কুনকি হাতি রামি একটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। এখন মা শাবক রয়েছে পিলখানায়। পর্যটকদের জন্য তা বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া, এবার প্রথমবারের মতো হাতি সাফারির জন্য চালু হচ্ছে অনলাইন টিকিট বুকিং। তবে জঙ্গলে প্রবেশের টিকিট এখনও অফলাইনেই মিলবে। ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় দাস জানান, হাতি সাফারির অনলাইন বুকিং শুরু হওয়ায় পর্যটন শিল্পে নতুন আশা জেগেছে। তবে তিনি আরও বলেন, জঙ্গলে প্রবেশের টিকিটও অনলাইনে বুকিংয়ের ব্যবস্থা না হলে পর্যটকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বেন। এতে গোরুমারা ও জলদাপাড়ার পর্যটন মার খাবে।
উল্লেখ্য, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে দুটি গেট দিয়ে হাতি সাফারি হয়। মাদারিহাট গেটে চারটি হাতি, প্রতিটি তিনটি করে শিফট। একদিনে মোট ৪৮ জন সাফারি করতে পারেন। আর মালঙ্গী গেটে একটি হাতি, প্রতিদিন তিন শিফটে মোট ১২ জন সাফারি করার সুযোগ পান। এখনও পর্যন্ত জলদাপাড়ায় হাতি সাফারির ভাড়া ছিল জন প্রতি ১০০০ টাকা, যা ১৪ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বহাল ছিল।
অন্যদিকে, গোরুমারা জাতীয় উদ্যানে ধুপঝোরা ক্যাম্প থেকে দুটি হাতি তিন শিফটে সাফারি করায়। সেখানে প্রতিদিন ১২ জন পর্যটক হাতির পিঠে চড়তে পারেন। এখানে ভাড়া জন প্রতি ১২০০ টাকা। উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি জানিয়েছেন, আগামী কাল ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে সব জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি মিলবে। সেইসঙ্গে হাতি সাফারিও ফের শুরু হবে। অনলাইনে হাতি সাফারির টিকিট চালু করা হচ্ছে।