কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ‘দ্যা বেঙ্গল ফাইলস’ ছবি টিজার। টিজার মুক্তি পেতেই শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র। এবার পরিচালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের কোলে মুশিদাবাদের ভাকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিপ্লব কুণ্ডু। কী ঘটেছে?
২ জুন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী X হ্যান্ডেলে ছবিটির টিজার প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। টিজার পোস্ট করে দিন তিনি অপশনে লিখেছেন, প্রেজেন্টিং: দ্যা কাশ্মীর ফাইলস এবং দ্যা তাসখন্দ ফাইলসের নির্মাতাদের পক্ষ থেকে দ্যা বেঙ্গল ফাইলস। যদি কাশ্মীর তোমাকে আঘাত করে, তাহলে বাংলা তোমায় ভয় দেখাবে। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন: ছবি মুক্তির আগেই ১২০ কোটি টাকা ক্ষতি, আমির নিলেন কোন বড় সিদ্ধান্ত?
আরও পড়ুন: 'আমির ১০ বার ফোন করে আমায়…',বন্ধুর আবদার রাখতে কী করলেন শাহরুখ?
টিজার প্রসঙ্গে
টিজারটি শুরু হতেই একটি গুরু গম্বীর কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায় যিনি বলেন, আমি একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত তাই পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমি বলতে পারি বাংলা আরও একটি কাশ্মীরে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এই বিবৃতিটি যেন একটি ভবিষ্যৎবাণীর মতো শুনতে লাগবে আপনার, তারপরেই এক ঝলক দেখতে পাওয়া যাবে সিনেমায় কারা কারা অভিনয় করছেন তাদের চরিত্রের নাম।
সিনেমায় অভিনয় করবেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, পল্লবী জোশি, বাবু মান, বোধিসত্ব শর্মা, নামসি চক্রবর্তী, রিচার্ড কিপ, শুভঙ্কর দাস সহ আরও অনেকে। খুব অল্প সময়ের টিজারে শুধুমাত্র দেখানো হয়েছে একটি দুর্গা মূর্তি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। তবে এইটুকুই যথেষ্ট আপনাকে নাড়া দিয়ে দেওয়ার জন্য।
কিন্তু এই টিজার দেখেই ক্ষুব্ধ মুশিদাবাদের তৃণমূল নেতা। ইতিমধ্যেই বিবেকের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় একটি এফ আই আর দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগকারীর দাবি, যে টিজার প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আবেগে আঘাত করা হয়েছে। ছবিটি মুক্তি পেলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো ছবিতে গোপাল পাঠা ওরফে গোপাল চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস। একসময় তৃণমূলের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। তবে ছবির টিজার মুক্তি পেতেই তৃণমূলের দাবি, সৌরভকে অনেক দিন আগেই দল সরিয়ে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: 'হারিয়ে যেতে চাই…', কেন এমন কথা বললেন অভিষেক? কী হল হঠাৎ?
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ‘কমল’, থাকবে প্রধানমন্ত্রীর উক্তি, আমিরের ছবিতে কী কী বদল সেন্সর বোর্ডের
ছবিটি সম্পর্কে শাসকদলের দাবি, সামনেই ভোট। গত ভোটে চেষ্টা করেও গেরুয়া শিবির জিততে পারেনি, তাই ২৬-এর বিধানসভা এখন তাদের কাছে পাখির চোখ। এই ভোটের আগেই এমন একটি ছবির মুক্তি খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলবে। তৃণমূলের এই দাবি মেনে আগামী দিনে সেন্সর বোর্ড হয়তো এই সিনেমায় কিছু বদল আনতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।