ভেনিসের মঞ্চে পুরুলিয়ার মেয়ে অনুপর্ণার বিশ্ব জয়ে গর্বিত গোটা বাংলা। শুধু পরিবারের লোকজন নয়, পরিচালকের এই জয়ে গর্বিত গোটা পশ্চিমবঙ্গবাসী। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপর্ণাকে শুভেচ্ছাবার্তা জানালেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং ঋদ্ধি সেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপর্ণার একটি ছবি পোস্ট করে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় লেখেন, ‘আপনার সঙ্গে আমার আলাপ নেই। তবে আপনার এই বিপুল সাফল্যে আমি অত্যন্ত গর্ব বোধ করছি। আপনি পড়বেনও না হয়তো এই লেখা। তবু লিখে আমার ভালো লাগবে বলে লিখলাম।’
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় আরও লেখেন, ‘বাংলায় একজন এত বড় এক মঞ্চে সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়াটা অবিস্মরণীয় এবং আবেগের। বাংলাকে গর্বিত করেছেন আপনি। আমার ও আমার পরিবারের তরফ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।’
আরও পড়ুন: 'এমন গল্প আগে দেখেননি...', জোয়ার- ভাঁটা নিয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রুতি- আরাত্রিকারা
আরও পড়ুন: ‘কেউ যোগাযোগ করবেন না…’, ঘোর বিপদে দেবচন্দ্রিমা, পাশে দাঁড়ালেন শ্রুতি
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ঋদ্ধি সেনও অনুপর্ণার গর্বে হয়েছেন গর্বিত। একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এমন এক সময়ে যখন বাঙালির পরিচিতি, গর্ববোধ, আত্মসম্মান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দিকে হাত বাড়ানোর ইচ্ছে কিছু বিশেষ অনুষ্ঠানে আবদ্ধ, যখন কথা বলা শুধু একে অপরের দিকে কিছু অকারণ, অনর্গল এবং অর্থহীন শব্দ ছুড়ে মারার অনন্ত চেষ্টা, লাইক শেয়ার সাবস্ক্রাইবের উৎসবে ঢুকে পড়াই যখন আমাদের একমাত্র দৈনন্দিন কাজ, সেখানে কিছু মানুষ নীরবে থাকেন।’
ঋদ্ধি আরও লেখেন, ‘কিছু মানুষ আছেন যারা ক্যাকোফোনির কদর্য রাজনীতি ছাপিয়ে শোনাতে পারে সেই নীরবতা, কোথাও না কোথাও এই পৌঁছে যাওয়া পৃথিবীতে কিছু মানুষ কথা না বলে শুধু কাজ করে চলেছে, যত্ন নিচ্ছে নিজের ভেতরের অবশিষ্ট সবুজটুকুর, শুনিয়ে যাচ্ছে শুনতে শেখার গান।’
সবশেষে অভিনেতা লেখেন, ‘আমরা নিজেরা নিজেদের ভূষিত করতে থাকি অহংকার, মেমে আর মহানায়ক সম্মানের ৯০ সেকেন্ডের সোয়াইপ আপ বর্তমানে, আর অনুপর্ণা রায়ে ভূষিত হোক সময়ের পুরস্কারে যা থেকে যাবে ভয়-মুক্ত ইতিহাসের পাতায়।’
প্রসঙ্গত, এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, এই সিনেমার হাত ধরেই অনুপূর্ণার প্রথম পরিচালনায় আসা। গত ১ সেপ্টেম্বর অনুরাগ কাশ্যপের উপস্থাপনায় ছবিটি প্রকাশিত হয় ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ফরাসি পরিচালক জুলিয়া ডুকুরনো। সাদা শাড়ি পরে মঞ্চে পুরস্কার নিতে গিয়ে কিছুটা আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন পরিচালক।
আরও পড়ুন: ফের ধারাবাহিকে ফিরতে চলেছেন শোলাঙ্কি, বিপরীতে থাকবেন কে?
আরও পড়ুন: ‘শতরূপে উত্তম’! উত্তম কুমারের ৩০টি অনবদ্য ছবি দেখতে পাবেন একসঙ্গে, কোথায়? রইল হদিশ
পুরস্কার নিয়ে অনুপূর্ণা বলেন, ‘আমি প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপ এবং সমস্ত টিমকে ধন্যবাদ জানাই। আমার শহর এবং আমার দেশের প্রত্যেককে গর্বিত করতে পেরে আমি সত্যিই ধন্য।’ এই ছবিটি মূলত দুই মহিলার জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি করা হয়েছে যারা মুম্বইতে থাকেন। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নাজ শেখ এবং সুমি বাঘেল। প্রযোজনা করেছেন বিভাংশু রায়, রোমিল মোদি এবং রঞ্জন সিং।