দক্ষিণী অভিনেতা ধনুশ তাঁর আসন্ন ছবির নাম রেখেছেন ‘ইডলি কড়াই’। তিনি জানান যে, যখন তিনি ছোট ছিলেন, তখন টাকা না থাকায় তাঁকে ইডলি কিনতে হলে ফুল বিক্রি করতে হত। তবে ইন্টারনেটে অনেকেই ধনুশের এই বক্তব্য মানতে পারছেন না, কারণ ধনুশ একজন পরিচালকের ছেলে।
আরও পড়ুন: ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’র ববিতাজি' মুনমুনের ভিডিয়ো ভাইরাল! জানেন সেই ভিডিয়োয় কী দেখা গিয়েছে?
অনুষ্ঠানে ধনুশ জানান যে, তিনি ইডলি খুব পছন্দ করেন। ছোটবেলায় তিনি সবসময় ইডলি খেতে খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু তাঁর পরিবারের পক্ষে তা খাওয়া সম্ভব ছিল না। তিনি বলেন, 'আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন প্রতিদিন ইডলি খেতে খুব ইচ্ছা করত, কিন্তু তা খাওয়ার সামর্থ্য ছিল না। তাই আমরা পাড়া থেকে ফুল সংগ্রহ করতাম। আমরা প্রতিদিন ফুল সংগ্রহ করতাম, তা বিক্রি করে টাকা পেতাম। আমার বোন, তুতো ভাই-বোনেরা এবং আমি এই কাজের জন্য ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠতাম এবং এতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগত।'
আরও পড়ুন: ক্লিনিক্যালি ডেড ছিলেন অমিতাভ! বেঁচে ফিরতে নিতে হয় ৬০ বোতল রক্ত, সঙ্গে আসে এই কঠিন রোগ
ধানুশ আরও বলেন, ‘সেই সময়ে ইডলি খাওয়ার সময় যে তৃপ্তি পাওয়া যেত, এখন আর তা নেই, যদিও এখন তার সামর্থ্য আছে।’আমরা আগে ওই কাজের জন্য ২ টাকা পেতাম। এরপর আমরা পাম্প সেটে যেতাম, স্নান করতাম, আর শুধু তোয়ালে পরে রাস্তায় বেরোতাম। সেই টাকায় ৪ থেকে ৫টি ইডলি পেতাম। পরিশ্রমের দ্বারা অর্জিত অর্থের সাথে ইডলি খাওয়ার তৃপ্তির তুলনা হয় না। শৈশবে আমরা যে সুখ এবং স্বাদ পেতাম, আজ তা রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় না।' আর শৈশবের এই স্মৃতির কারণেই তিনি তাঁর ছবির নামকরণ করেছেন ‘ইডলি কড়াই’, যার অর্থ ইডলির দোকান।
তবে সমাজ মাধ্যমে অনেকেই ধনুশের কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না। X-এ একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘তিনি ছোটবেলায় গরীব ছিলেন, তাই কন্তুরী রাজ্য পরিচালক হিসেবে তাঁর পরিবারকে কখনও টাকা দেননি, এটা কি সত্য?’ একজন লিখেছেন, ‘ধনুশ একজন পরিচালকের ছেলে, তার কাছে টাকা ছিল না, এটা মিথ্যা।’ আর একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যখন আপনি ৮-৯ বছর বয়সী ছিলে, আপনার বাবা ৪-৫টি ছবি পরিচালনা করেছিলেন। আপনি বলছেন যে আপনার কাছে ইডলি কেনার টাকা ছিল না, বলার জন্য কিছু বলবেন না।’