সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পথ কুকুরদের রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সকলে। সমাজ মাধ্যমের পাতায় লেখালেখি শুরু করে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ, সবকিছুই হয়েছে নির্বাক শিশুরগুলির কথা ভেবে। তবে যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রায় গোটা ভারতবর্ষের মানুষ পথ কুকুরদের পক্ষে কথা বলছেন, ঠিক সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে বিতর্ক তৈরি করলেন রাম গোপাল বর্মা।
রাম গোপাল বর্মা সম্প্রতি একটি পোস্ট করেছেন X হ্যান্ডেলে যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় কুকুর প্রেমিকরা, আপনারা সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে কুকুরদের প্রতি অবিচারের জন্য চিৎকার করছেন। কিন্তু যখন ৪ বছরের একটি শিশুকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন?’
আরও পড়ুন: 'রঘু ডাকাত'-এর টিজারে সাদা চুল, ক্রুর হাসিতে বাজিমাত অনির্বাণের! সোহিনী-রূপা-ইধিকাদের লুকেও বড় চমক
আরও পড়ুন: 'ও যদি ছোট না হত...', প্রসেনজিতের কোন কথায় চোখে জল এল চঞ্চল চৌধুরীর?
পরিচালক আরও লেখেন, ‘প্রতি বছর এইভাবে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয় পথ কুকুরদের কামড়ে। তখন আপনারা কোথায় থাকেন? আপনাদের করুণা কোথায় থাকে? আপনাদের করুণা কি শুধুমাত্র সারমেয়দের প্রতি সীমিত থাকে? যে ছোট ছোট শিশুরা মারা গিয়েছে তাদের প্রতি আপনাদের কোনও করুণা নেই?’
সবশেষে পরিচালক লেখেন, ‘কুকুরদের ভালোবাসায় কোনও দোষ নেই। আমিও ওদের খুব ভালোবাসি। আপনি যদি সত্যি কুকুর প্রেমিক হন, তাহলে রাস্তার কুকুরদের বাড়িতে নিয়ে যান, তাদের খাওয়ান। আপনারা সব সময় বিদেশি কুকুর বাড়িতে রাখবেন, দেশি কুকুরদের নিয়ে যাবেন না আর অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারের বিরুদ্ধে কথা বলবেন তা তো হয় না।’
আরও পড়ুন: ‘ভাই দারুণ লেগেছে…’, 'রক্তবীজ ২' টিজার মুক্তি পেতেই অঙ্কুশকে শুভেচ্ছাবার্তা দেবের
আরও পড়ুন: বক্স অফিসে উঠল ঝড়, প্রথম দিনেই ধূমকেতুর আয় ছাড়াল কোটি টাকার গণ্ডি
রামগোপালের মন্তব্য অনুযায়ী, ‘আপনারা অবশ্যই দেশি কুকুরদের ভালবাসেন কিন্তু সেটা যদি কারও মৃত্যুর কারণ হয়ে যায় তা কিন্তু উচিত নয়। একজন কুকুরের যেমন বেঁচে থাকার অধিকার আছে তেমন একটি শিশুরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। একটি শিশুর প্রাণ আপনাদের পোস্ট করা ছবিগুলির থেকে অনেক বেশি দামি।’
রঙ্গিলা পরিচালক বলেন, ‘আপনাদের এই ভারসাম্যহীন করুণা একেবারেই যথার্থ নয়। আপনারা যদি পথকুকুরদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে না রাখতে পারেন তাহলে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে দিন। আপনাদের ভালোবাসার বোঝা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। এমন কোনও পদক্ষেপ নেবেন না যাতে সেটি অন্যের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’