বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > মৃত্যুর পর মেয়ের দেহ পড়েছিল মর্গে! কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়?
পরবর্তী খবর
২০১৯ সালে চলে যান মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে পায়েল। এতদিন পর মেয়ের মৃত্যু নিয়ে ফের মুখ খুললেন অভিনেত্রী। একগুচ্ছ অভিযোগ আনলেন পায়েলের শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। কী বললেন?
কী ঘটেছে?
২০১৯ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে মারা যান মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এবং জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের প্রথম সন্তান পায়েল। তিনি ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। মৃত্যুর আগে ২ দিন কোমায় ছিলেন। সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গে ফের মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। জানালেন তাঁর মেয়ের শ্বশুর বাড়ির তাঁর যথাযথ খেয়াল রাখত না। এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো পায়েলের ব্যবসায়ী ডিকি সিনহার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: 'মোদীকে বলতে বলেছিল, এবার উনি...' পহেলগাঁওয়ের জবাবে অপারেশন সিঁদুর, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ কঙ্গনা-অক্ষয়দের
জামাইয়ের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে অভিনেত্রী সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁর জামাইয়ের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয় একটি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে। ২০১৮ সালে মৌসুমী বম্বে হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন, সেখানেই তিনি অনুরোধ করেন যেন তাঁকেই পায়েলের অভিবাবক করা হয়। জানান তাঁর মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন পায়েলের যথাযথ খেয়াল রাখছেন না, চিকিৎসা করাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, আড়ি খ্যাত অভিনেত্রী অভিযোগ করেন পায়েলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন নাকি তাঁর হাসপাতালের বিল পর্যন্ত মেটাতে চাইতেন না। মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর মেয়ের দেখাও করতে দেওয়া হতো না বলেই অভিযোগ।
মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানান, 'আমার মনে হয় না আমার স্বামী এখনও পায়েলের মৃত্যুর শোক ভুলতে পেরেছে। আমিও পারিনি। এই শূন্যতা আজীবন থাকবে। তিনি নয়নদীপ রক্ষিতকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমন জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, পায়েলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁর ছোট মেয়ে মেঘা চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্বামীকেও নানা ভাবে অপমান করত।