ড্যান্স বাংলা ড্যান্সের মঞ্চে আগামী শনিবার রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন করা হবে। রবি ঠাকুরের গানের সঙ্গে নাচবেন প্রতিযোগীরা। এদিন সেটারই ঝলক প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। আর সেটা দেখেই যারপরনাই বিরক্ত নেটিজেনরা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কমেন্ট বক্সে।
কী ঘটেছে?
এদিন জি বাংলার তরফে যে প্রোমো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে অনুষ্কা মম চিত্তে গানটিতে নাচবেন। যদিও তিনি সম্পূর্ণ রাবীন্দ্রিক সাজ এবং স্টাইল বজায় রেখেই এদিন পারফর্ম করবেন। কিন্তু বাকিদের নাচের কম্পোজিশন দেখে বিরক্ত নেটিজেনরা। তাঁদের মতে এগুলো নাচ নয়, কেবল জিমন্যাস্টিক, হুটোপুটি।
কে কী বলছেন?
এদিন এই প্রোমো প্রকাশ্যে আসার পর এক ব্যক্তি লেখেন, 'ওটা রবীন্দ্র নৃত্য নয়, ওটা রবীন্দ্র জিমন্যাস্টিক।' আরেকজন লেখেন, 'এরকম রবীন্দ্র নৃত্য দেখলে রবি ঠাকুর আত্মহত্যা করতেন, দেখুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের কাছে একটা ইমোশন দয়া করে তাঁকে নিয়ে, তার সৃষ্টিকে নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না।' তৃতীয় জন লেখেন, 'দয়া করে বন্ধ হোক এসব কুরুচিপূর্ণ অনুষ্ঠান। আর যাইহোক, রবীন্দ্র নৃত্য নিয়ে এধরনের experiment না করলেই ভালো হয়।' চতুর্থ জন লেখেন, 'যখন একটি রবীন্দ্র সঙ্গীতকে নবরসের বিভিন্ন রস সমৃদ্ধ করে , লীলায়িত অঙ্গভঙ্গি করে প্রকৃত রবীন্দ্র নৃত্যের মতো পরিবেশন করা হচ্ছে তখন এই বিচারকদের উৎসাহ নেই , কিন্তু রিমিক্স করে লম্ফঝম্প করে জিমন্যাস্টিক হচ্ছে তখন বিচারক র একেবারে উচ্ছসিত হয়ে যাচ্ছেন, প্রকৃত রবীন্দ্র নৃত্যের সম্পর্কে আগে জেনে আসুন তারপর রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন করবেন।' পঞ্চম ব্যক্তির কথায়, 'রবিযাপনের নামে এইসবের কি খুব দরকার ছিল? সত্যিই মানুষ কতটা মনের দিক থেকে অশিক্ষিত।' ষষ্ঠ ব্যক্তি লেখেন, 'আমার মনে হয় বিচারকদের আসনে কোনো অভিনেতা/অভিনেত্রীদের না বসিয়ে প্ৰখ্যাত নৃত্যশিল্পীদের বসানো উচিত। যাঁরা নৃত্য সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান রাখেন।'
ড্যান্স বাংলা ড্যান্স প্রসঙ্গে
ড্যান্স বাংলা ড্যান্স ৮ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। এবারের সিজনে মিঠুন চক্রবর্তী আছেন মহাগুরু হিসেবে। সঙ্গে আছেন ৪ বিচারক। এঁরা হলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, অঙ্কুশ হাজরা এবং যিশু সেনগুপ্ত। বলাই বাহুল্য এই রিয়েলিটি শোয়ের হাত ধরে ফের ছোট পর্দায় ফিরলেন যিশু, এবং তাও জি বাংলার রিয়েলিটি শোতে। ড্যান্স বাংলা ড্যান্স বর্তমানে প্রতি শনি এবং রবিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে দেখা যায়।