হিন্দি সিনেমার দুনিয়ায় এমন অনেক মহান খলনায়ক রয়েছেন যাঁরা ছবির নায়ককে নানান সমস্যায় জেরবার করেছেন। অমরীশ পুরী হলেন সবচেয়ে বিপজ্জনক খলনায়কদের মধ্যে একজন, যাঁর ভারী কণ্ঠস্বর নায়কদের শুধু ভয়ই পাইয়ে দিত না, প্রেক্ষাগৃহে বসে দর্শকদের মনে ভয়ও তৈরি করত। অমরীশ পুরী দীর্ঘদিন ধরে হিন্দি ছবির দুনিয়ায় রাজত্ব করেছেন। তিনি অনেক ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে ৮০ ও ৯০-এর দশক ছিল তাঁর কাছে স্পেশাল। এই সময়টা অমরীশ পুরীকে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় খলনায়কে পরিণত করেছিল।
অমরীশ পুরী থিয়েটার দিয়ে নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। এমনকি টিভি সিরিয়ালেও কাজ করেছেন। অমরীশ পুরী তাঁর ভারী কণ্ঠস্বরের জন্য পরিচিত। তবে খুব কম লোকই জানেন যে অভিনেতার কণ্ঠস্বর জন্মসূত্রেই পেয়েছিলেন। পাশাপাশি অভিনেতা প্রতিদিন অভিনয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রমের করতেন। অভিনেতা প্রতিদিন প্রায় ৩ ঘন্টা কেবল তাঁর কণ্ঠস্বরের উপর নানান অনুশীলন করতেন। তিনি প্রতিদিন সংলাপ চর্চা করতেন।
তবে সিনেমার দুনিয়ার খলনায়ক হিসাবে অমরেশ পুরীকে অনেকেই চেনেন। তবে টিভি সিরিয়ালে অমরীশ পুরীর কাজের কথা খুব কম লোকই জানেন। অনেকেই জানেন না যে তিনি টিভি সিরিয়ালেও কাজ করেছেন। শ্যাম বেনেগালের শো 'ভারত এক খোঁজ' -এ ৩৯ নম্বর এপিসোডে তিনি এ হাসান রাজা খানের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। এই ধারাবাহিকের পর তাঁকে আর কখনো টিভিতে দেখা যায়নি। ১৯৮৮ সালে দূরদর্শনে দেখানো হয়েছিল এই সিরিয়াল। এই সিরিয়ালে দেখা গিয়েছিল ওম পুরি, টম অল্টার, পীযূষ মিশ্রের মতো অভিনেতাদের।
অমরীশ পুরী সম্পর্কে আরও বলা হয় যে তাঁর কেরিয়ারে একটি বড় সিনেমা পেয়েছিলেন। শোনা যায়, এই ছবি তৈরি হলে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন চরিত্র পায় অভিনেতা। ১৯৯৩ সালে সেই ছবিটি তৈরি হচ্ছিল। যে ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাওয়ার কথা ছিল সানি দেওল ও দিব্যা ভারতীকে। সেখানে অমরীশ পুরীকে একজন জোকারের ভূমিকায় দেখা যেত যিনি প্রথমে বাচ্চাদের হাসাতেন এবং পরে তাদের অপহরণ করে অর্থ আদায় করতেন। সেই চরিত্রটি সিনেমার দুনিয়ায় একটি ভীষণি বিপজ্জনক চরিত্র হতে চলেছিল। কিন্তু দিব্যার ভারতীর আকষ্মিক মৃত্যুর পর সেই ছবির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।