ভালোবাসাটাই কি অপরাধ ছিল? ২০১৮ সাল থেকে দুজনের সম্পর্ক। দীর্ঘ সম্পর্ক পরিনতির পথেই এগোচ্ছিল। সমাজমাধ্যমে দুজনেই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে ছিলেন খোলামেলা। নেটদুনিয়ার বন্ধুরা সেই সম্পর্কের জন্য শুভেচ্ছা, অভিনন্দন থেকে আশীর্বাদ অনেক কিছুই জানিয়েছেন। কিন্তু কসবার কলেজের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই যেন পাল্টে গিয়েছে জীবন। নেটদুনিয়ায় রীতিমতো হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে মনোজিতের প্রেমিকাকে। অভিযুক্তের বান্ধবী হওয়াই তাঁর অপরাধ। তাঁর ছবি ও নাম ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সর্বত্র। অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, এক মেয়ের জন্য সুবিচার চাইতে গিয়ে অন্য মেয়েকে এভাবে কি হেনস্থা করা যায়?
আরও পড়ুন - ইনফেকশন হয়েছিল, যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে বাদ দিল হাসপাতাল! ঠুকলেন মামলা
ট্রমায় রয়েছেন মনোজিতের বান্ধবী
২৭ জুনের ঘটনার পরেই নাকি নিজেকে অভিযুক্তের প্রোফাইল থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ওই তরুণী। প্রোফাইলও লক করে দেন। কিন্তু মনোজিতের বান্ধবীকে দ্রুত শনাক্ত করে ফেলেন কিছু নেটিজেন। তার পর নানা জায়গায় তাঁর ছবি পোস্ট করে রীতিমতো তাঁকে হেনস্থা করা হয় কসবা ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বান্ধবী হওয়ায়। সম্প্রতি আনন্দবাজারকে তিনি বলেন, রোজকার হেনস্থার ঘটনায় রীতিমতো ট্রমায় রয়েছেন তিনি। বললেন ‘আর সহ্য করতে পারছি না’।
কী কী অভিযোগ তরুণীর?
প্রসঙ্গত, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের প্রাক্তনী অভিযুক্তের বান্ধবী। তিনিও পেশায় আইনজীবী। কিন্তু মনোজিত ধর্ষণে অভিযুক্ত জানার পর বেশ বিস্মিত হন তরুণী। মানসিকভাবে আঘাতও পান। এই আঘাতের রেশ থাকতে থাকতেই আরেকরকম আক্রমণের শিকার তিনি। পরিচিত, আত্মীয়ের পাশাপাশি অপরিচিতদের আক্রমণ সমান তালে চলছে। তাঁর প্রশ্ন, এভাবে কি মহিলাকে আক্রমণ করা যায়? এর কী বিচার হবে?
আরও পড়ুন - থোড়াই কেয়ার মার্কিনি শুল্কের ‘হুমকি’কে! বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বড় ইঙ্গিত মন্ত্রীর
প্রেমিকের পূর্বকীর্তি সম্পর্কে কী বক্তব্য তাঁর?
২০১৮ সাল থেকে দীর্ঘ সাত বছর ধরে দুজনের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি তরুণীর। সাম্প্রতিককালের ধর্ষণ নয়, এর আগেও নানা ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন মনোজিৎ। শুধু তাই নয়, শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছে একাধিকবার। এইসব বিষয়ে তরুণী কি তাঁর প্রেমিককে প্রশ্ন করেছিলেন? তরুণী পেশায় আইনজীবী। কেন বারবার অভিযোগের তীর তাঁর প্রেমিকের দিকেই, জানার চেষ্টা করেছিলেন? এইসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য অধরা থেকে গিয়েছে সংবাদমাধ্যমের কাছে।