জুলাইয়ের ৭ তারিখ থেকে সম্প্রচার শুরু হবে ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’র। তাঁর আগেই এল আগমনী বার্তা। হয়ে গেল মেগার গ্র্যান্ড লঞ্চ। চ্যানেল ও নির্মাতাদের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতার পথে আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশেষ শোভাযাত্রার। সেখানে হাজির ছিলেন পর্দার 'রাণী ভবাণী' রাজনন্দিনীও। আর এই বিশেষ শোভা যাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাও।

'রাণী মা' আসার আগে থেকেই বিরাট তোড়জোড়। কারণ দক্ষিণ কলকাতায় হবে বিশেষ শোভা যাত্রা। কী নেই সেখানে? প্রায় ২৫০ মানুষের ভিড়। কারুর হাতে পাখা, তো কেউ বাজাচ্ছেন শাঁখ, আবার কেউ বাজাচ্ছেন কাঁসর ঘন্টা, বাদ পড়েনি ঢাকও। আর পালকীতে বসে 'রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী'।

রাজ বেশেই এই বিশেষ শোভাযাত্রায় হাজির হয়েছিলেন রাজনন্দিনী। টকটকে লাল বেনারসী, সঙ্গে মানানসই লাল ব্লাউজ। গায়ে ভারী সোনার গয়না। গলার চিক থেকে লম্বা ঝোলা হার, কানে ভারী ঝুমকো, হাতে ভারী ভারী বালা, শাঁখা পলা, মাথায় মুকুট পরে একেবারে 'রাজ রাজেশ্বরী' দেখাচ্ছিল পর্দার 'রাণী ভবাণী' রাজনন্দিনীকে।

প্রথমে কাঁসর, ঢাক, শাঁখ, সাঁওতালি নাচে পরিবেষ্টিত হয়ে রাজ রাজেশ্বরীর মতোই পালকীতে চড়ে দক্ষিণ কলকাতার পুণ্যদাস রোড ধরে রাসবিহারী পর্যন্ত হল 'রানী মা'-এর শোভাযাত্রা। তারপর পালকী থেকে নেমে হাত জোড় করে সকলকে অভিবাদন করলেন রাজনন্দিনী। আশেপাশে তখন সকলের কন্ঠে 'রাণী ভবানী'র জয় ধ্বনি। 'রাণী' বেশে রাজনন্দিনীকে দেখার জন্য জমে উঠেছিল ভিড়।

প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই এসেছে মেগার প্রোমো। এই মেগায় ‘রাণী ভবানী’র জীবনের নানা অধ্যায় তুলে ধরা হবে। মেগার রাজনন্দিনীকে তো মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবেই। তাছাড়াও থাকবেন 'দুই শালিখ' খ্যাত অভিনেতা সায়ন বোস। তিনি ছাড়াও মেগায় থাকছেন অরিজিতা মুখোপাধ্যায়, মানসী সেনগুপ্ত, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
এই প্রোমোয় রাণী ভবাণীর জন্ম থেকে বড় হয়ে ওঠা, বিয়ে, তারাপীঠের মন্দিরের সঙ্গে যোগ আর শেষে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রার পুরো কাহিনির কোলাজ তুলে ধরা হয়েছে। রাণী ভবানীর নানা বয়সের লুকেও দেখা গিয়েছিল রাজনন্দিনীকে। কখনও লাল ফিতে দিয়ে কলা বিনুনি বাঁধা গ্রামের সাদামাটা মেয়ে কিন্তু তার হাতে লাঠি, সকলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাঠি খেলছে। আবার কখনও একেবারে নতুন কনের বেশে ভারী গয়না আর লাল টুকটুকে বেনারসী পরে পালকি করে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে আবার কখনও রাজবাড়ির বউরাণী হয়ে ক্ষুধার্তদের মুখে তুলে দিচ্ছে খাবার। আর সর্বশেষে তাঁকে রণরঙ্গিনীর সাজে তরোয়াল হাতে যুদ্ধযাত্রা করতে দেখা গিয়েছে। আর এই সবের মাঝেই পিছন থেকে ভেসে এসেছে আবহ, যেখানে শোনা গিয়েছে সব্যসাচী চক্রবর্তীর গলা।