তিন মাসেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে, তবুও সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুশোক মেনে নিতে পারছে না তাঁর অনুরাগীরা। স্বভাবতই প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের পক্ষে এই মহূর্তগুলো আরও কঠিন। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর ন্যায়বিচারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি আওয়াজ তুলেছেন সুশান্তের মার্কিন মুলুকনিবাসী দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। তবে ভাইকে হারানোর যন্ত্রণার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন সুশান্তের অপর তিন দিদি-নীতু,মীতু এবং প্রিয়াঙ্কাও।
শুক্রবার সুশান্তের স্মরণে একটি আবেগঘন পোস্ট লিখলেন মীতু সিং। ১৮ বছর আগে অল্প বয়সেই মাকে হারিয়েছিল এই পাঁচ ভাই-বোন। মায়ের মতো করেই যে ভাইকে আদর-যত্ন দিয়ে বড় করেছিল তাঁরা, সেও যে এইভাবে ফাঁকি দিয়ে চলে যাবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি মীতু। এদিন মীতু সুশান্ত ও তাঁদের মা ঊষা দেবীর একটি সুন্দর আর্টওয়ার্কের ছবি শেয়ার করেন, আর টুইটারের দেওয়ালে এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন- ‘আমার মা ছিল আমার সব শক্তির উত্স। আর আমার ভাই ছিল আমার গর্ব। এত তাড়াতাড়ি দুজনকে হারিয়ে ফেললাম। এই যন্ত্রণা, এই শোক মেনে নেওয়া খুব কঠিন’।
সুশান্তের পরিবারের মধ্যে তাঁর জীবনের শেষ কয়েকটা দিন মীতুই সুশান্তের সঙ্গে ছিলেন। ৮ জুন রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের বান্দ্রার কার্টার রোডের মাউন্ট ব্লাঙ্ক অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে যাওয়ার পর ওই দিন সন্ধ্যায় মীতু ভাইয়ের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। এরপর ১২ তারিখ মুম্বইতেই নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন মীতু। অভিশপ্ত ১৪ জুনের ওই দুপুরে তিনিই প্রথম পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুশান্তের মরদেহ দেখেন। সিদ্ধার্থ পিঠানি ফোন করে মীতুকে সুশান্তের 'আত্মহত্যার' খবর দিয়েছিলেন। এই মর্মে ইতিমধ্যেই ইডি ও সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছেন মীতু।
মীতু ও প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের বিরুদ্ধে পালটা সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন রিয়া চক্রবর্তী।গত ৭ সেপ্টেম্বর বান্দ্রা পুলিশ থানায় এই মামলা দায়ের করেন রিয়া। আপতত সেই মামলাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে প্রয়াত অভিনেতার গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিহার পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করেছিলেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। বিহার সরকারের সুপারিশ মেনে সেই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় কেন্দ্র সরকার। এই সিদ্ধান্তে সুপ্রিম সিলমোহর পড়বার পর আপাতত এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। অন্যদিকে সুশান্ত মামলার সঙ্গে যুক্ত মাদককাণ্ডে এনসিবির হাতে গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন রিয়া চক্রবর্তী, আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল রিয়ার ভাই শৌভিক সহ নায়িকার অপর দুই সহযোগী স্যামুয়েল মিরান্ডা ও দীপেশ সাওয়ান্তকে।