Kabir Suman: কালীঘাটের যুগলকে দেখে বান্ধবীদের চুমু খাওয়ার প্রস্তাব পাঠানোর কথা ভেবেছিলেন, বলছেন কবীর সুমন

কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে যুগলের চুমু ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই উঠে আসছে নানা মুনির নানা মত। কেউ পক্ষে, কেউ বা বিপক্ষে। তবে নেটপাড়ায় ঘটনা ঘিরে সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনায় মুখ খুলেছেন টলিপাড়ার সেলেবরাও। এক্ষেত্রে বিরসা দাশগুপ্ত, শ্রীলেখা মিত্ররা যুগলের সমর্থনেই কথা বলেছেন। আবার বং গাই কিরণ দত্তও যুগলের সমর্থনে সরব। তবে এক্ষেত্রে ঘটনার বিরোধিতা করেছেন কিংবদন্তী নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। আর এবার কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে যুগলের চুমু নিয়ে মুখ খুললেন সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে কবীর সুমন নিজের বক্তব্য জানিয়ে লেখেন, 'অবাক হয়ে যাচ্ছি, লোকে এতে রুষ্ট হচ্ছে দেখে।...একজন পুরুষ আর একজন পুরুষকে কিংবা এক নারী অন্য নারীকেও এ ভাবে চুমু খেতে পারেন। এর চেয়ে মধুর, এর চেয়ে সুন্দর আর কী হতে পারে এই হানাহানির জগতে?'আরও পড়ুন-পথভ্রষ্ট 'সন্তান'দের গালে ঠাস করে একটা চড়! চোখের জলে হল ছাড়লেন অভিভাবকরা, কেমন হল রাজের ছবি?আরও পড়ুন-বাংলাদেশি অতিথিদের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে 'না', কবীর সুমন বলছেন, ‘আমি লজ্জিত…’আরও পড়ুন-‘জন্তুরাও তো আমাদের থেকে…’, ‘শাড়ির আঁচল' বিতর্কের পর কালীঘাটে যুগলের চুমু নিয়ে কী বললেন মমতা শঙ্কর?এমনকী কবীর সুমন বলেন, এই চুমু দেখে তাঁরও নাকি বান্ধবীদের চুমু খাওয়ার প্রস্তাব পাঠাতে ইচ্ছে করছে। তাঁর কথায়, আগামী মার্চেই তিনি ৭৭-এ পা দেবেন। দেখতে গেলে তিনি বুড়ে হয়ে গিয়েছেন। তারপরেও এসব দেখে তিনি ভেবেছিলেন, ‘বান্ধবীদের বলব, চলো তো আমরা চুমু খাই। দেখি তো কী হয়! তাঁরা হয়তো রাজিও হবেন। কিন্তু আড়ালে।’ এই আড়ালে চুমু খাওয়ার অবশ্য ন্যায্য কারণ আছে। কারণ, কবীর সুমন তারকা হওয়ার তাঁদেরও সংবাদমাধ্যমে নাম প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন সঙ্গীতশিল্পীরা। কবীর সুমনের মতে, ওই যুগল লোক দেখানো চুমু খাননি। ভালোবেসেই একে অপরকে চুমু খেয়েছেন। তাঁর প্রার্থনা সারা জীবন যেন তাঁরা এভাবেই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে যেতে পারেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই কালীঘাটে চুমুর ঘটনার বিরোধিতা করেছেন সঙ্গীতশিল্পী মমতা শঙ্কর। তিনি আনন্দবাজারকে জানান, ‘এর মতো খারাপ জিনিস হয় না। আমি এর বিরুদ্ধে। কারণ, এরপরে সমস্ত কিছু করার সাহস হয়ে যাবে। স্থান-কাল-পাত্র বলে কোনও ব্যপার থাকবে না! এটা কী, আমরা কী! জন্তুরাও তো আমাদের থেকে অনেক ভালো। এই জন্যই তো এসব হচ্ছে আজকাল, এত রেপ হচ্ছে, আজকাল এতকিছু হচ্ছে। বাচ্চাদের হাতে ফোন যাচ্ছে, ওরা ছোট থেকেই এইসব দেখছে। ওদের মূল্যবোধ কোথায় যাবে!’মমতা শঙ্করের কথায়, ‘ভালোবাসা মানুষের মধ্যে থাকবেই, তবে সেটার আরও মাধুর্য বাড়ে যখন সেটার একটা আব্রু থাকে। বিদেশ থেকে যেগুলো খারাপ জিনিস, যেগুলো ওরা বর্জন করছে, সেগুলোকে আমরা নিচ্ছি।’