2 মিনিটে পড়ুন Updated: 14 Jun 2023, 07:39 AM ISTRanita Goswami
‘নাচ আমার আরেকটা ভালোলাগা। আর আমি আঁকতে ভালোবাসি। আর খেতে আমি ভালোবাসি (হাসি)। অবসরে বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাই। পুজো করতে আমি খুব ভালোবাসি। এতে অদ্ভুত শান্তি পাই।’
সৌমিতৃষার কৃষ্ণ প্রেম
বেশকয়েক বছর ধরে বাংলা টেলিভিশনে আবেগের নাম হয়ে উঠেছিল ‘মিঠাই’। দর্শক 'মিঠাই'কে ভালোবেসেছেন, আবার অভিনেত্রী সৌমিতৃষাও দর্শকমহলের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। তাই 'মিঠাই' ছাড়াও সৌমিতৃষাকেও নিয়েও জানতে চান অনুরাগীরা। পড়াশোনা থেকে শুরু করে নাচ, ব্যক্তিগত জীবন, ভালোলাগা, নানান বিষয় নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা দিলেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু।
সৌমিতৃষার বাড়ি তো বারাসতে, ওখানেই কি আপনার পড়াশোনা?
সৌমিতৃষা: বারাসতে আমার বাড়ি ছিল, যদিও বহুবছর হল ওখানে আমরা আর থাকি না। বারাসত গার্লস হাইস্কুল থেকে আমি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কলাবিভাগে পড়াশোনা করি। তারপর কলকাতায় চলে আসি। সেন্ট পলস কলেজে ভর্তি হই ইংরাজি অনার্স নিয়ে। তবে কাজের চাপে কলেজের অ্যাটেনডেন্সে খুব সমস্যা হচ্ছিল, সামলে উঠতে পারছিলাম না। ৬ মাস পর থেকে আর কলেজ যেতেই পারছিলাম না। বাবা-মা বললেন, যদি অভিনয়কেই পেশা কর, তাহলে রেগুলার কলেজ ছেড়ে অন্য ব্যবস্থা করতে হবে। আর পড়াশোনাটা করতে চাইলে নিয়মিত কলেজ যাও। তখনই আমি কলেজ ছেড়ে দিই, কারণ অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। তারপর ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে (ওপেন ইউনিভার্সিটি ) পড়াশোনা শুরু করি। ইংলিশ অনার্স শেষ করি।
এখন কলকাতাতেই থাকেন…
সৌমিতৃষা: এখন আমি কলকাতাতেই থাকি, বাবা-মাও আমার সঙ্গেই থাকেন। আমি একটাই মেয়ে, তাই বাবা-মাও বাড়ি ছেড়ে আমার কাছে এসে থাকছেন। আর ভাইবোন থাকলে হয়ত, বাধ্য হয়ে বাবা-মাকে আমায় একাই ছাড়তে হত। এখানে বাবা-মাকেও আমার সঙ্গে সবকিছু নতুন শুরু করতে হয়েছে।
পরবর্তী পড়াশোনার দিকে কি এগোনোর ইচ্ছা আছে?
সৌমিতৃষা: নাহ, MA করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন দেখছি সময় দিতে পারব না। কাজের জায়গায় ১০০ শতাংশ না দিলে কোনওটাই ঠিকঠাক হবে না। ৫০-৫০ হয়ে কোনও লাভ নেই।