এক সপ্তাহ হল শুরু হয়েছে দাদামণি। প্রতীক সেনের নতুন ধারাবাহিক। প্রতিদিন রাত সাড়ে ৮ টায় জি বাংলার পর্দায় এই মেগা সম্প্রচারিত হতে দেখা যায়। অন্যদিকে, এই সময়ই স্টার জলসার পর্দায় সম্প্রচারিত হয় 'রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবাণী'। বৃহস্পতিবার টিআরপি তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে চতুর্থ স্থানে 'রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবাণী' আর ‘দাদামণি’ ষষ্ঠ স্থানে। আর সল্ট হারাতেই প্রকাশ্যে এল মেগার নতুন প্রোমো।
আরও পড়ুন: 'রোশনাই'-এর শ্যুটিং শেষ হতেই মুম্বই পাড়ি অস্মির! এবার কী তবে বলিউডে কাজ আসতে চলেছে নায়িকার?
কী দেখা গিয়েছে প্রোমোয়?
মেগা দেখা যাচ্ছিল চার বোনকে দাদা 'সোম' যত্নে লালন পালন করে। তাঁরা সোমের চোখের মণি। তবে এই চার বোন ছাড়াও আরও একজন থাকে তার মনের মণিকোঠায়, আর সে হল সোমের ছেলেবেলার ভালোবাসা পার্বতী। তবে কেবল সোম একা নয়, পার্বতীও সোমকে সমান ভাবে ভালোবাসে। কিন্তু শুধু তার সোমের প্রতি ভালোবাসা নেই, আছে বাবার ভয়ও। তাই কলকাতার নামী হাসপাতাল মেডিনিস্টের চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দেয় বাবার একটা কথায়।
তারপর গ্রামে ফিরে আসে। ফের মুখোমুখি হয় সোমের। তবে এর মাঝেই দুর্ঘটনার শিকার হয় সোম। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় সে। তাঁকে বাঁচাতে পার্বতী সকলের সামনেই সোমের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কৃত্রিম উপায়ে সোমের শ্বাস চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। আর তা পার্বতীর বাবা দেখে ফেলাতেই বাঁধে মহাগণ্ডগোল। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে সে। সেই সূত্রে বাড়িতে ডেকে পাঠায় সোমকেও।
আর তারপর সোম-পার্বতীর জীবনে যে ঝড় আসতে চলেছে তার আভাস মেলে মেগার নতুন প্রোমোয়। সেখানে দেখা যায় সোমের বাড়িতে সাজো সাজো রব। তার চার বোন মিলে তাকে সাজিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, আয়নার সামনে গম্ভীর ভাবে বসে পার্বতী। তাঁর বাড়ির সকলে তাকে সাজাচ্ছে। কারণ তার আশীর্বাদ। প্রোমোয় পার্বতীকে বলতে শোনা যায়, ‘জোর করে না হাসা উচিত, না কাঁদা উচিত।’ তারপর তার চোখের কোল বেয়ে নেমে আসে জল।