কিছুদিন আগে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় একটি পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, ১৬ তম শিকাগো সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেবীপক্ষ ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে। এই আনন্দের খবরের মধ্যেই আবার শুনতে পাওয়া গেল বাংলার আরও একটি বিশ্বজয়ের খবর।
দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এবং পরিচালিত প্রথম বাংলা ছবি ‘দ্য আনএক্সপেক্টেড’ নির্বাচিত হয়েছে শিকাগো সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জন্য। আগামী ১৪ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার শিকাগো শহরে এই ছবিটির বিশ্ব প্রিমিয়ার হবে। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন ইস্টার্ন থেম্পিয়ানস উইম্বলডন।
আরও পড়ুন: আবার হইচইতে ফিরছেন ‘ইন্দুবালা’, কীসের ‘অনুসন্ধান’ করবেন শুভশ্রী?
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর আবার পর্দায় ফিরছেন সৌমিতৃষা, কোথায় দেখা যাবে তাঁকে?
কলকাতার এক চিকিৎসক দম্পতি চান্দ্রেয়ী সেনগুপ্ত এবং দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালিত সিনেমা এবার স্থান পেল বিশ্বের মঞ্চে। বর্তমানে এই চিকিৎসক দম্পতি থাকেন ইউকেতে এবং তাঁরা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে কনসালট্যান্ট হিসাবে নিযুক্ত।
‘দ্য আনএক্সপেক্টেড’ ছবি প্রসঙ্গে পরিচালক দেবাশীষ আজকাল ডট ইনকে বলেন, ‘এই সিনেমাটি আমাদের প্রোডাকশন হাউজের প্রথম কাজ। ছবিটি শিকাগো ফেস্টিভ্যালে নির্বাচিত হওয়ায় আমরা ভীষণ আনন্দিত। এই গর্ব এবং সম্মান শুধু আমাদের একার নয়, এটা গোটা ভারতের সম্মান। আমাদের প্রথম প্রচেষ্টার খুব গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি এটি।’
আরও পড়ুন: 'আমার জীবনের সেরা দিন...', কোন খুশির খবর শোনালেন অহনা?
আরও পড়ুন: 'এই ভাবেই মাঠে ঘাটে ঘুরে ঘুরে...', জন্মদিনে ইমনকে ভালোবাসায় ভরালেন নীলাঞ্জন
দেবাশীষ এবং চান্দ্রেয়ী প্রসঙ্গে
ছাত্র জীবন থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত দেবাশীষ। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন বেশ কয়েকটি নাটকের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি। অন্যদিকে চান্দ্রেয়ীও অভিনয় জগত নিয়ে চর্চা করতেন বরাবর। ২০২১ সালে লন্ডন ভিত্তিক থিয়েটার কোম্পানি ইস্টার্ন থেসপিয়ানস শুরু করেন এই দম্পতি।
এই কোম্পানির হাত ধরে বেশ কয়েকটি বাংলা এবং ইংরেজি নাটক সফলভাবে মঞ্চস্থ করা হয়। পরবর্তীকালে মহামারী চলাকালীন থিয়েটার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণের ভাবনাচিন্তা আসে এই দম্পতির মাথায়। প্রথমে মোবাইলে কাজটি সম্পন্ন করার চিন্তাভাবনা হলেও পরে আস্তে আস্তে বেশ বড়সড়োভাবেই প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়।
সিনেমাটি বাংলায় তৈরি হলেও ছবির বিষয়বস্তু এবং প্রেক্ষাপট খুব নিমেষে মন ছুঁয়ে দিয়েছে বিদেশের দর্শকদের। এই সিনেমায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে এমন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে যা আগামী দিনের মানুষের মন জয় করতে পারবে বলে আশাবাদী পরিচালক।