খরচ কমাতে সাশ্রয়ী বাজেট করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বদলে জনরোষ সামাল দিতে পারছেন না ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সারা দেশ জুড়ে মিছিল, অবরোধ করলেন সাধারণ নাগরিকরা। স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ রেখে চলল বিক্ষোভ প্রদর্শন। বেশ কিছু জায়গায় খন্ড যুদ্ধ বেঁধে গেল পুলিশের সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী বদলালেও বেসামাল অবস্থা
নয়া বাজেট পেশ করার পর থেকেই লাগাতার বিরোধিতার মুখে পড়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। সংসদেও তাঁকে বিরোধীদের তরফে চাপ সামলাতে হচ্ছে। অন্যদিকে চাপ আসছে বিনিয়োগকারীদের দিক থেকেও। জোড়া চাপের ফলে বর্তমানে বেশ বিপদে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বেইরুর বাজেট ছিল ৪৪ বিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় করার লক্ষ নিয়ে তৈরি। তার বিরুদ্ধেই লাগাতার গর্জে উঠেছে সাধারণ নাগরিক। নয়া প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু এসে নতুন প্রতিশ্রুতি দিলেও বিক্ষোভ শান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন - হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ উড়িয়ে সেবির ক্লিনচিট আদানিকে
কী চাইছে সাধারণ নাগরিক
আন্দোলনকারী দলগুলি পূর্ববর্তী সরকারের আর্থিক প্যাকেজ বাতিল প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি দাবি জানানো হয়েছে সরকারি পরিষেবায় আরও বিনিয়োগের। সাশ্রয়ের বদলে সরকারি কোষাগার সামাল দিতে দাবি করা হচ্ছে, ধনীদের উপর উচ্চ কর আরোপের। অবসরের বয়স বৃদ্ধিজনিত পেনশন সংস্কার ফেরানোর দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - প্রধানমন্ত্রী ‘পুজো উপহার’ যোজনা? নয়া GST-তে বাংলার কতটা লাভ? জানালেন নির্মলা
স্ত্রীকে নিয়ে চিন্তিত প্রেসিডেন্ট
তবে দেশের লাগাতার বিক্ষোভের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ম্যাক্রোঁর কপালে। কারণ তাঁর স্ত্রী নারীত্বের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সম্প্রতি বিবিসির ‘ফেম আন্ডার ফায়ার’ পডকাস্টে এমনটাই জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁর আইনজীবী টম ক্লেয়ার। ক্লেয়ার জানিয়েছেন মার্কিন আদালতে একটি মানহানির মামলা করা হয়েছে ক্যানডেনস ওয়েনসের বিরুদ্ধে। সেই মামলার প্রমাণস্বরূপ নিজের নারীত্বের ফটোগ্রাফিক ও সায়েন্টিফিক তথ্য দেবেন ইমানুয়েলের স্ত্রী ব্রিজেট ম্যাক্রোঁ। দক্ষিণপন্থী হিসেবে পরিচিত ক্যানডেনস ওয়েনস সম্প্রতি ব্রিজেটকে পুরুষ বলে দাবি করেন। দাবি করেন, তিনি মহিলা সেজে রয়েছেন। এই ঘটনার পরেই মানহানির মামলা করা হয় তাঁর নামে।