'আমি সব ধর্মকেই সম্মান করি।' মধ্যপ্রদেশে ক্ষতিগ্রস্ত বিষ্ণুমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার মামলায় বিতর্ক শুরু হতেই নিজের অবস্থা স্পষ্ট করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট খাজুরাহোর জাভরি মন্দিরে ভগবান বিষ্ণুর সাত ফুট উঁচু মূর্তি 'পুনর্নির্মাণ এবং পুনর্স্থাপনের' আর্জিতে দায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরেই এ মালয় এক মন্তব্যকে ঘিরে খোদ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধেই হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠে।
আরও পড়ুন-US-এ নির্যাতিত ভারতীয় বধূ! পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, কেন্দ্রকে চিঠি
তীব্র সমালোচনার মুখে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, তাঁর মন্তব্য ভুলভাবে প্রচারিত হয়েছে এবং তিনি সব ধর্মকেই সমানভাবে শ্রদ্ধা করেন। আরেক মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানান, 'আমার মন্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমাকে কেউ বলেছেন সেটি নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি স্পষ্টত বলতে চাই, সব ধর্মকে সম্মান করি।' মঙ্গলবার জাভরি মন্দিরে ৭ ফুট উচ্চতার একটি বিষ্ণুমূর্তি পুনঃস্থাপন চেয়ে দায়ের হওয়া মামলাটি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিষয়টি প্রত্নতত্ত্ব দফতরের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। সেই সময় প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই আবেদনকারীকে বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ পাবলিসিটির জন্য দায়ের করা আবেদন। এবার আপনাদের দেবতাকেই নিজের জন্য কিছু করতে বলুন।আপনি বলছেন আপনি বিষ্ণুর দৃঢ় ভক্ত, তাহলে গিয়ে প্রার্থনা করুন এবং ধ্যান করুন।' এছাড়াও তিনি যোগ করেন যে খাজুরাহো এসিআই-এর অধীনে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, এবং মূর্তির পুনর্নির্মাণের জন্য এসিআই-এর অনুমতি প্রয়োজন। তাঁর কথায়, 'এখনকার মধ্যে, যদি আপনি শৈবধর্মের বিরোধী না হন, তাহলে সেখানে গিয়ে পূজা করতে পারেন-খাজুরাহোতে শিবলিঙ্গের একটি খুব বড় মূর্তি আছে, যা সবচেয়ে বড়গুলির একটি।’
আরও পড়ুন-US-এ নির্যাতিত ভারতীয় বধূ! পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, কেন্দ্রকে চিঠি
প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।অনেকে অভিযোগ করেন, প্রধান বিচারপতির করা এই মন্তব্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। কারও কারও মতে, এমন মন্তব্যের জন্য প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ করা উচিত। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক বাড়তে থাকায় কয়েকজন আইনজীবী তাঁর কাছে লিখিতভাবে অনুরোধ জানান, তিনি যেন বিষয়টি স্পষ্ট করেন এবং তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করেন।রাষ্ট্রপতির কাছেও চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন আইনজীবী বিনীত জিন্দাল। তিনি লিখেছেন, ‘আশা করি সুপ্রিম কোর্ট এবং রাষ্ট্রপতি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। প্রত্যেক ধর্মবিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।’ যদিও এখনও এমন কিছু করেনি দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। বরং তিনি তাঁর মন্তব্যে অনড়।