বাস্তুশাস্ত্রমতে একটি বসতবাড়ির নানান দিক ঘিরে বহু শুভ অশুভ ফল-র ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে। বাস্তু মতে প্রতিটি জিনিস ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে রাখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু দিকের কথা বলা হয়। এদিকে, বহু সময়ই দেখা যায়, বাড়িতে সব কিছু আপাত ঠিকঠাক থাকলেও অদ্ভূত কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাস্তুদোষের চর্চার প্রসঙ্গ উঠে আসে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে একটি বাড়ির ভিতর বাস্তু দোষ থাকলে তা ৫ টি লক্ষণ দেখেই ধরে ফেলা যায়। কী সেই ৫ লক্ষণ? দেখে নেওয়া যাক। এই বাস্তুদোষ থেকে মুক্তির উপায়ও দেখে নিন।
কোন ৫ লক্ষণ দেখে চেনা যায় বাস্তুদোষ?
আর্থিক সংকট- অনেক সময় অদ্ভূত কিছপু কারণে যদি ক্রমাগত টাকা জলের মতো বেরিয়ে যেতে থাকে, তাহলে তা নিয়ে সতর্কতার কথা বলা হচ্ছে বাস্তুশাস্ত্রমতে। সেক্ষেত্রে বাড়িতে কোনও বাস্তুদোষ রয়েছে কিনা তা দেখে নেওয়া যেতে পারে। জলের মতো টাকা বের হওয়া বাস্তুদোষের একটি লক্ষণ বলে মনে করা হয়।
হঠাৎ রোগ- হঠাৎ করে বারবার বাড়ির সদস্যদের অসুস্থ হওয়াও বাস্তুদোষের লক্ষণ বলে মনে করা হয়। ফলত, এমন ঘটনার ক্ষেত্রে সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাস্তুবিদদের মতে।
খুব রাগ- হঠাৎ করে বাড়ির সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া, রাগ বেড়ে যাওয়া বাস্তুদোষ সংক্রান্ত অন্যতম কারণ। সদস্যদের হঠাৎ হঠাৎ করে রাগ এই বাস্তুদোষের একটি কারণ হতে পারে বলে মন বাস্তুবিদদের।
ঘরে ভাঙা ঝাড়ু- বাড়িতে অনেকের অলক্ষ্যে যদি ঝাঁটা ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকে, তাহলে তা বাস্তুদোষের সংকেত দেয়। এমনই মত বহু বাস্তুশাস্ত্রবিদদের।
কেরিয়ারে ধাক্কা- বহু পরিশ্রমের পরও বাড়ির সদস্যদের যদি কেরিয়ারে কোনও রকমের হঠাৎ করে কোনও কারণে ঝঞ্ঝাট, অসাফল্য বারবার আসতেই থাকলে, তা বাড়ির বাস্তুদোষের সংকেত হতে পারে। এমনই মত বহু বাস্তুশাস্ত্রবিদদের।
এই বাস্তুদোষ কাটানোর উপায়:-
১)বাস্তুদোষ কাটাতে ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গণপতি বাপ্পার মূর্তি রাখা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় এমনটা করলে বাস্তুদোষ কেটে যেতে পারে।
২) এছাড়াও ঘরের উত্তর পূর্ব দিকে নদীর কোনও ছবি লাগানো শুভ হবে। এতে বাস্তুদোষ থেকে রেহাই মিলতে পারে বলে মত অনেকের।
৩) এছাড়াও বাড়ির সদর দরজায় ঘোড়ার কালো নাল রাখা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এতে বাস্তুদোষ দূরে যায় বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।
৪) বাস্তুদোষ দূর করতে হলে বাড়ির ঠাকুর ঘর পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। মা লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করতে এমনটা জরুরি। তবে ধনদেবীকে প্রসন্ন করতে হলে ঠাকুরের পুজোর ঘর ও বেদী পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই জরুরি।
( এই প্রতিবেদন মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। বি.দ্র-আমরা দাবি করি না যে এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্য সম্পূর্ণ সত্য বা সঠিক। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে একজন সংখ্যাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।)