পিতৃপক্ষের শেষদিন, অর্থাৎ মহালয়ার দিন, শুধু তর্পণ নয়, আরও কিছু কাজ করলে পূর্বপুরুষদের আত্মা তৃপ্ত হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। এই দিনে কিছু নির্দিষ্ট রীতি-নীতি মেনে চললে তা পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ বয়ে আনে। তর্পণ ছাড়াও এই ৫টি কাজ করা যেতে পারে।
কী কী সেই কাজ?
১. দুঃস্থকে দান - মহালয়ার দিনে গরীব, দুঃস্থ এবং অসহায় মানুষকে অন্ন, বস্ত্র বা অর্থ দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দানের ফল সরাসরি পূর্বপুরুষদের কাছে পৌঁছায় এবং তাঁরা এতে খুশি হন। যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয়, একজন অভাবী মানুষকে একবেলার আহারের ব্যবস্থা করে দিন।
২. ব্রাহ্মণকে ভোজন করানো - পণ্ডিত বা ব্রাহ্মণকে বাড়িতে ডেকে ভোজন করানো এক প্রাচীন প্রথা। অনেকেই মনে করেন, এই দিনে ব্রাহ্মণ ভোজন করালে তা পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি দেয়। ভোজনের পর ব্রাহ্মণকে কিছু অর্থ বা নতুন বস্ত্র দান করলে ফল আরও বেশি মেলে।
আরও পড়ুন - দেবীর আগমন বার্তা ঘোষণা করে নীলকন্ঠ পাখি, কেন শুভ এর দর্শন? জানুন শাস্ত্রমত
৩. গরু ও কুকুরকে খাবার দিন - হিন্দু ধর্ম মতে, গরুকে সেবা করা অত্যন্ত পুণ্যের কাজ। পিতৃপক্ষের শেষ দিনে গরুকে খাবার বা ঘাস দিলে তা পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোরই সমান। এছাড়া কুকুরকেও খাবার দেওয়া যেতে পারে। এই পশুদের খাবার দিলে তা পূর্বপুরুষদের তৃপ্ত করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
৪. পিপল গাছে জল দান - পিপল গাছকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। মনে করা হয়, এই গাছে পূর্বপুরুষদের আত্মা বাস করে। তাই মহালয়ার দিনে পিপল গাছে জল দেওয়া এবং তার নিচে প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত শুভ ফল দেয়।
আরও পড়ুন - টাকার ফোয়ারা উৎসবের মরসুমেই, প্রেমও জমে ক্ষীর! দেবীপক্ষে কপাল খুলবে এই ৫ রাশির
৫. গীতাপাঠ ও মন্ত্র জপ - এই বিশেষ দিনে ভগবদ্গীতার কিছু অংশ পাঠ করা বা পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে কিছু মন্ত্র জপ করা খুবই উপকারী। 'ওঁ শ্রী পিতৃদেবায় নমঃ' অথবা 'ওঁ সর্ব পিতৃভ্যো নমঃ' মন্ত্র জপ করলে পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তি পায় এবং আপনার প্রতি তাঁদের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। এই মন্ত্র জপ করলে পূর্বপুরুষদের প্রতি আপনার ভক্তি প্রকাশ পাবে এবং তাঁদের প্রতি আপনার সম্মান আরও দৃঢ় হবে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।