পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের জঙ্গি প্রীতির পর্দা ফাঁস করল পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি। ইলিয়াসের একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির নাকি ভারতের অপারেশন সিঁদুরে নিহত সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনা কমান্ডারদের।
ভাইরাল ভিডিয়োতে ইলিয়াস বলে, 'জিএইচকিউ (জেনারেল হেডকোয়ার্টার - পাক সেনা সদর দফতর, রাওয়ালপিন্ডি) শহিদদের (মৃত জঙ্গি) সম্মান ও অভিবাদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। শেষকৃত্যে কোর কমান্ডারদের ইউনিফর্ম পরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শেষকৃত্যে পাহারা দেওয়ার জন্য ইউনিফর্মে সেনাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল।' এর আগে ভারত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে পাক সেনা কমান্ডারদের ছবি প্রকাশ করেছিল গোটা বিশ্বের সামনে। তবে পাকিস্তানের আইএসপিআর ডিজি এই সংক্রান্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে এবার জঙ্গি নেতা নিজেই পাকিস্তানের পর্দা ফাঁস করল।
এদিকে মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি আরও বলে, ভারতের অপারেশন সিঁদুর অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবার সদস্যদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। ইলিয়াস কাশ্মীরিকে ব্যাখ্যা করতে শোনা যাচ্ছে যে, ৭ মে কীভাবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের আস্তানায় প্রবেশ করে আক্রমণ চালিয়েছিল। ভাইরাল ক্লিপে কাশ্মীরি উর্দুতে মাসুদ ইলিয়াস বলেছে, 'আমরা এই দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য দিল্লি, কাবুল এবং কান্দাহারের সঙ্গে লড়াই করেছি। সবকিছু ত্যাগ করার পর, ৭ মে, বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় বাহিনী মৌলানা মাসুদ আজহারের পরিবারকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল।' যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে লস্কর-ই-তৈয়বার উপ-প্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরির একটি ভিডিয়ো। সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে, কাসুরি অভিযোগ করেছে যে পাকিস্তান সরকার এবং সেনাবাহিনী মুরিদকেতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদর দফতর পুনর্নির্মাণের জন্য তহবিল সরবরাহ করেছে। এই স্থানটি ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর'-এর সময় ধ্বংস করেছিল। প্রায় দুই মিনিটের এই ভিডিয়োটিতে (যার সত্যতা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি) কাসুরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়। নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে লস্কর-ই-তৈয়বা নেতা জোর দিয়ে বলে যে তাদের 'সংকল্প দৃঢ়'। এরই সঙ্গে এই জঙ্গি নেতা আরও দাবি করে যে শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীরের নদী এবং বাঁধ 'তাদের' হবে। এই কাসুরি ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করেন অনেকে।