বিহারের পর বাংলায় স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। এর জন্য বাংলাতে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। তবে এরই মাঝে দিল্লিতে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় যাদের নাম থাকবে, সংশোধিত ভোটার তালিকাতেও তাদের নাম থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আর তা না হলে নথি জমা দিয়ে ভোটাধিকার প্রমাণ করতে হবে। এদিকে শুধু দিল্লি নয়, জানা যাচ্ছে, কর্ণাটকেও এসআইআর-এর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
কী কী কাগজপত্র লাগবে এসআইআর-এর ক্ষেত্রে? ১৯৮৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী ভোটারদের নাম যদি ২০০২ সালের তালিকায় না থাকে, তাহলে তাঁকে সংশোধিত তালিকায় থাকতে হলে ১২টি নথির মধ্যে একটি দেখাতে হবে। সেখানে আধার কার্ড কেবল আইডি প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হবে। এদিকে ১৯৮৭ এবং ২০০৪ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের দুটি নথি জমা করতে হবে। এর মধ্যে একটি হবে জন্ম তারিখ এবং অন্য নথি পিতা-মাতার ভোটাধিকারের নথি। পিতা-মাতার মধ্যে কেউ যদি বিদেশি নাগরিক হন তবে পাসপোর্ট এবং ভিসার বিবরণও জমা দিতে হবে।
বলা হয়েছে, ১৯৮৭ সালের আগে জন্মগ্রহণ করা ভোটারের নাম যদি ২০০২ সালের তালিকায় না থাকে, তাহলে এই সব নথির যেকোনও একটি দিতে হবে: সরকারি কর্মীদের পরিচয়পত্র, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগের কোনও সরকারি নথি (ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসির নথিও গ্রাহ্য), জন্মের শংসাপত্র, পাসপোর্ট, শিক্ষা সংক্রান্ত শংসাপত্র (জন্মের তারিখ উল্লেখ থাকা চাই), স্থায়ী বসবাসকারীর শংসাপত্র, এসসি এসটি বা ওবিসির সংশাপত্র, এনআরসি তালিকায় নাম, স্থানীয় প্রশাসনের তৈরি করা পারিবারিক ‘রেজিস্টার’, জমি-বাড়ির দলিল বা পর্চা।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশিত করা হয়েছে। সেই তালিকাকে ভিত্তি করেই ২০২৫ সালের এসআইআর-এর জন্য এগোবে কমিশন। এর আগে বিহারে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা বিশেষ সমীক্ষায় ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ৮০ লাখের বেশি নাম। এর মধ্যে অবশ্য বেশিরভাগ নামই মৃত ভোটারদের। এদিকে বাদ পড়া নামের মধ্যে খুব বেশি ভোটার কমিশনের কাছে পালটা আবেদন করেননি বলে দাবি করা হয়েছিল রিপোর্টে।