বাংলাদেশের চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি অবতরণ করেছে 'বিদেশি' সামরিক বিমান। এদিকে কয়েকদি আগেই নাকি চট্টগ্রামে ১২০ জন মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য যান। তারা চট্টগ্রামের অভিজাত হোটেল ব়্যাডিসন ব্লু-তে আছেন। এই সব মিলে জল্পনা বর্তমানে তুঙ্গে। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চর্চাও চলছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ব়্যাডিসন ব্লু হোটেলের ৮৫টি কক্ষ ভাড়া নিয়েছেন মার্কিন সেনারা। তবে সেই মার্কিন সেনাদের কারও নামই নাকি হোটেলের রেজিস্টারে নেই।
এদিকে বাংলাদেশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ বাহিনীর সঙ্গে নাকি মার্কিন সেনারা যৌথ সামরিক মহড়া করে। তাই মার্কিন সেনারা বাংলাদেশে উপস্থিত। দুই দেশের যৌথ মহড়ার নাম ছিল প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫। চট্টগ্রামের জহুরুল হক সেনানিবাস সাত দিনের এই মহড়ায় প্রায় ৯২ জন মার্কিন এবং ৯০ জন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য, শ্রীলঙ্কা বিমান বাহিনীর দুইজন মেডিকেল কর্মী, ওরেগন এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য অংশ নিয়েছিলেন। তবে এই ব্যাখ্যার মাঝেও উঠে আসছে 'সেন্ট মার্টিন' দ্বীপের কথা। এর আগে গত মে মাসেও কক্সবাজারে মার্কিন সেনার উপস্থিতি ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এদিকে এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মিশর বিমান বাহিনীর একটি পরিবহণ বিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং এর একদিন পরেই মার্কিন সেনারা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পতেঙ্গা বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবিক করিডোর তৈরি করার পরিকল্পনা করছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকারের। তবে এই করিডোরের মাধ্যমে উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এদিকে এই করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজেদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করতে পারে বলে আশঙ্কা শুরু হয়েছিল তাদের দেশের অভ্যন্তরেই। যার জেরে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল ইউনুস সরকারের ওপর। তারপর বেশ কয়েক মাস বিষয়টি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি ইউনুস সরকারের তরফ থেকে। এমনকী বলা হয়েছিল, এই করিডোরের বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তই নেয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় দাবি করেছিলেন, আমেরিকা সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে ঘাঁটি গড়তে চায়। এরই সঙ্গে ভারতের উত্তরপূর্বের খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাজ্যগুলির সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ মিলিয়ে একটি খ্রিস্টান দেশ গড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।