তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির নির্দেশে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কংগ্রেসের তিন সাংসদ এনডিএ মনোনীত প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণনকে ভোট দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র বিধায়ক পি কৌশিক রেড্ডি। গত ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন। এই নির্বাচনের ফলকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। অভিযোগ ওঠে, 'ইন্ডিয়া' শিবিরের সাংসদদের মধ্যে কেউ কেউ ক্রস ভোটিং করেছেন।
আরও পড়ুন-'ইতিবাচক মানসিকতা!' আফ্রিদির গলায় রাহুল প্রশংসায় তোপ BJP-র, স্মৃতিচারণ বিরোধীদের
বিআরএস বিধায়ককে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, 'তিনজন কংগ্রেস সাংসদ গোপনে আমাকে বলেছিলেন যে তারা মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির নির্দেশে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। এমনকী তারা আমাকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে সকলের কাছে এই খবর প্রকাশ করতে বলেছেন।' তিনি আরও দাবি করেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় ক্রস-ভোটিংয়ে শুধুমাত্র কয়েকটি সংখ্যার এদিক-ওদিক হয় এবং কংগ্রেসের ১৫ জন সাংসদ বিক্রি হয়ে গিয়েছিলেন, যার মধ্যে আটজন তেলাঙ্গানার সদস্য। বিধায়কের কথায়, 'যখন আমি কয়েকজন কংগ্রেস বন্ধুকে ফোন করি, তখন তারা আমাকে বলেন যে ১৫ জন কংগ্রেস সাংসদ বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে তেলাঙ্গানার ৮ জন কংগ্রেস সাংসদও রয়েছেন।'
আরও পড়ুন-'ইতিবাচক মানসিকতা!' আফ্রিদির গলায় রাহুল প্রশংসায় তোপ BJP-র, স্মৃতিচারণ বিরোধীদের
এখানেই থামেননি বিআরএস বিধায়ক। তিনি আরও বলেন, 'কয়েকজন কংগ্রেস সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন যে তারা ক্রস-ভোট দিয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু এবং তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির মধ্যে গুরু-শিষ্য সমঝোতার অংশ হিসাবে এটি করা হয়। কারণ রেবন্ত রেড্ডি ২০১৬ সাল পর্যন্ত তেলুগু দেশম পার্টির সঙ্গে ছিলেন। এনডিএ-র সাংসদ সংখ্যা ৪২৭ হওয়ায় রাধাকৃষ্ণনের জয় প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তার সঙ্গে যোগ হয় জগন মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১ ভোট, যা তাঁর জয়কে আরও সুসংহত করে। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপি প্রার্থী প্রত্যাশার চেয়ে ১৪টি ভোট বেশি পাওয়ায় বিরোধী শিবিরে ক্রস ভোটিংয়ের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, প্রাক্তন বিচারপতি সুদর্শন রেড্ডির ঝুলিতে প্রত্যাশিত ৩১৫ ভোট না গিয়ে ১৫টি ভোট কম পড়ায় বিরোধী জোটের অন্দরেই অসন্তোষ তৈরি হয়। জোটের মধ্যে আসন-বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনই এই ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ায় কারা ক্রস ভোট করেছেন, তা নির্দিষ্টভাবে জানা সম্ভব নয়।