দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই ইজরায়েল-বিরোধী মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ট্রাম্পের সেই যুক্তিতে সায় দিয়ে নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ছাত্রকে মাহমুদ খলিলকে আলজেরিয়া অথবা সিরিয়ায় নির্বাসনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন অভিবাসন বিচারক।
আদালতের নথি অনুসারে, মাহমুদ খলিলের গ্রিন কার্ডের আবেদন থেকে কিছু তথ্য বাদ দেওয়ার দাবির ভিত্তিতেই তাঁকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে খলিলের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা নির্বাসন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। এছাড়াও, একটি ফেডারেল জেলা আদালত পৃথক নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে সরকার ফেডারেল আদালতে মামলা চলালীন মাহমুদ খলিলকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাসন বা আটক করতে পারবে না। আদালতের নির্বাসন নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় মাহমুদ খলিল বলেন, এতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। বাকস্বাধীনতার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন যে আমার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই... ক্যাঙ্গারু অভিবাসন আদালতের মাধ্যমে তাদের সর্বশেষ প্রচেষ্টা আবারও তাদের আসল চেহারা সামনে এনে দিয়েছে।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা ইমিগ্রেশন আদালতের বিচারক জেমি কোমান্স মাহমুদ খলিলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা যাবে বলে রায় দিয়েছিলেন।তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত খলিল কখনোই কোন অপরাধে অভিযুক্ত হননি। আটক অবস্থা থেকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, প্যালেস্টাইনীদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাহমুদ খলিল কে?
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউইয়র্ক ক্যাম্পাসে প্যালেস্টাইনপন্থী বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মাহমুদ খলিল। সিরিয়ার একটি প্যালেস্টাইন শরণার্থীশিবিরে জন্মানো খলিল আলজেরিয়ার নাগরিক। গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হন। খলিলের স্ত্রী একজন মার্কিন নাগরিক। গত ৮ মার্চ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন থেকে খলিলকে গ্রেফতার করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের কর্মকর্তারা। এরপর কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে লুইজিয়ানার জেলে পাঠান।