শহরের রাস্তায় টোটো চলাচলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। মূল শর্ত অনুযায়ী, এখন থেকে ১৮ বছরের কম বয়সি কেউ টোটো চালাতে পারবে না। বুধবার থেকেই শহরে মাইকিং শুরু হয়েছে। টানা তিন দিন চলবে প্রচার। তারপর যদি নিয়ম অমান্য হয়, তবে শুরু হবে ধরপাকড় অভিযান। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, নিয়ম না মানলে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। এমন নিয়ম এনেছে জলপাইগুড়ি পুরসভা।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে মাদক মেশানো চকোলেট খাইয়ে ধর্ষণ, টোটোচালককে ২৫ বছরের কারাদণ্ড
পুরসভার অভিযোগ, বহু নাবালক টোটো নিয়ে রাস্তায় নামছে, যাদের গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। পাশাপাশি অনেক সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেও চালকরা যাত্রী তুলছেন, যা যাত্রীদের প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ায়।এছাড়া, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধরা পড়লে প্রথমবার জরিমানা ১,০০০ টাকা। দ্বিতীয়বার রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও টোটো বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাছাড়াও, চালকের পাশে যাত্রী বসালে প্রথমবার ৫০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ১,০০০ টাকা জরিমানা। তৃতীয়বার রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও টোটো বাজেয়াপ্ত করা হবে।
শুধু তাই নয়, হেডলাইট ছাড়া রাতে টোটো চললে জরিমানা ২০০ টাকা। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, স্কুল ইউনিফর্ম পরা ছাত্রছাত্রী, প্রবীণ নাগরিক এবং বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য ‘নো রিফিউজাল’ পরিষেবা চালু হচ্ছে। অর্থাৎ, এই শ্রেণির যাত্রীদের টোটোচালকরা ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। টোটোর ভাড়া নিয়েও নির্দিষ্ট হার বেঁধে দিয়েছে পুরসভা। প্রথম ২ কিমি পর্যন্ত ১৫ টাকা এবং পরবর্তী ৩ কিমি পর্যন্ত প্রতি কিমি ৫ টাকা হারে ভাড়া। সর্বোচ্চ ভাড়া ৩০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। স্কুল ইউনিফর্ম পরা ছাত্রছাত্রী ও বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য প্রথম ২ কিমি পর্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা নির্ধারিত।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাতে হেডলাইট না জ্বালিয়ে টোটো চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এবার থেকে এটি বাধ্যতামূলক করা হলো। পাশাপাশি টোটোর রেষারেষি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে নজরদারি চালানো হবে বলেও তিনি জানান।