বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এবার বিশেষ দৃশ্য দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের সামনেই। কালীঘাটে তাঁর বাড়ির ঠিক সামনের পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত পুজোয় নিজে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মহিলা পুলিশকর্মীরা এবং পরিবারের সদস্যরাও। মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই পুজোয় যোগ দেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর ব্যানারে আগুন, ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও, বিজেপির দিকে আঙুল তৃণমূলের
মমতার উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই কার্যালয়েই বসেন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা। সেই কর্মীদের সঙ্গে উৎসবে অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি দফতরগুলোতেও দিনটি ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। নিজস্ব এক্স হ্যান্ডল থেকে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানাতেই ছুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে নয়, তৃণমূল ভবনেও বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়। সেখানে পুজো করেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ফলে দলীয় সদর দফতর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পরিসর দুই জায়গাতেই উৎসবের আবহ ধরা পড়েছে।
প্রতি বছর নিজের বাড়িতে কালীপুজোর আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সারা দিন উপবাস থেকে সন্ধ্যায় ভোগ রান্না করা তাঁর বহু বছরের অভ্যাস। এদিনও বিশ্বকর্মা পুজোয় যোগ দিয়ে তিনি জানান, এই পুজো থেকেই আসলে দুর্গাপুজোর উৎসব-পর্ব শুরু হয়ে যায়। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের নতুন ভবন উদ্বোধনের সময়ও একই মন্তব্য করেছিলেন মমতা।
সম্প্রতি বিজেপি-শাসিত একাধিক রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণের অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই আবহে শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই আলাদা প্রকল্প ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ফলে বিশ্বকর্মা পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণকে অনেকেই দেখছেন বার্তা হিসেবে, শ্রমিকদের সম্মান জানিয়ে উৎসবে শামিল হওয়ার বার্তা।