দুর্গাপুজোর ব্যানারে আগুন, ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও, বিজেপির দিকে আঙুল তৃণমূলের

রাতের অন্ধকারে আচমকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বালুরঘাট শহরের নাইন জুয়েলস ক্লাবের দুর্গাপুজোর ব্যানার। এই ব্যানারটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ছিল প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী, তাঁর ছেলে তথা সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী এবং বালুরঘাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর ছবি। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।আরও পড়ুন: পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত লালবাজার, তৃতীয়া থেকেই মোতায়েন থাকবে পুলিশঘটনার পরই ক্লাবের সম্পাদক অগ্নিব গুহ বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের চিহ্নিত করা হবে।ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত ঘটনা। সম্পাদক অগ্নিব গুহের কথায়, এখানে মুখ্যমন্ত্রী ও চক্রবর্তী পরিবারের সকলে ছিলেন ব্যানারে। প্রত্যেককেই অপমান করার উদ্দেশ্যেই ব্যানার পোড়ানো হয়েছে।প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর ছেলে তথা সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা একেবারেই নিন্দনীয় কাজ। পুলিশ তদন্ত করলে নিশ্চিতভাবেই অপরাধীরা ধরা পড়বে। একই সুরে কাউন্সিলার প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিল। যাঁরা এ কাজ করেছে, তারা আসলে সরকারকেই অপমান করেছে। এর পেছনে বিরোধী দলগুলোর হাত থাকতে পারে।অন্যদিকে, বিজেপি জেলা নেতৃত্ব এর দায় শাসকদলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের ওপর চাপিয়েছে। বিজেপির এক নেতার দাবি, এই ধরনের নোংরা রাজনীতি বিজেপি করে না। এটা নিছক তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলেরই ফল।যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, দলের ভেতরে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। যারা ব্যানার পুড়িয়েছে, তারা ভুল করেছে। শঙ্কর চক্রবর্তী এখনও সরকারি দায়িত্বে আছেন। পুলিশ দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করুক। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। দুর্গাপুজোর আগে শহরের বুকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়া ঘিরে প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।