রামপুরহাটে ছাত্রী খুনের ঘটনায় সামনে এল নয়া তথ্য। ধৃত শিক্ষক মনোজ কুমার পাল নাকি সেই ছাত্রীকে বিয়ে করতে চাইতেন। এই আবহে অনুমান করা হচ্ছে, ছাত্রী 'না' বলাতেই হয়ত খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে দেয় সেই শিক্ষক। এদিকে এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করেন উত্তেজিত জনতা। তাঁকে ধরে টানা হিঁচড়া করতে থাকেন। উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও।
উল্লেখ্য, প্রায় ২০ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল সপ্তম শ্রেণির সেই ছাত্রী। গত ১৬ সেপ্টেম্বর অবশেষে সেই স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্কুলের ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক মনোজ কুমার পালকে গ্রেফতার করা হয়। মৃত ছাত্রীর বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাটে ছিল। রামপুরহাট শ্যামপাহারির একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সেই ছাত্রী। অভিযোগ, তাকে অপহরণ করে খুন করে শিক্ষক মনোজ কুমার পাল।
কী হয়েছিল? গত ২৮ অগষ্ট টিউশন পড়তে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির সেই ছাত্রী। সেদিন থেকে নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের পক্ষ থেকে রামপুরহাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে এই ঘটনায় সন্দেহ হয়, স্কুলেরই ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক মনোজ কুমার পাল তাকে অপহরণ করেছে। পুলিশে এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরই রামপুরহাট থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
এই আবহে ১৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে রামপুরহাট থানার কালিডাঙা গ্রামের কাছে জলাজমিতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ সেই নিখোঁজ ছাত্রীর পচা গলা মৃত দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ধর্ষণের মামলা হয়নি। শুধু নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। দেহটি টুকরো টুকরো করে কেটে জলে ফেলা ছিল। দেহাংশে পচন ধরেছিল। এদিকে ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।