অনুরাগ কাশ্যপের ভাই অভিনব কাশ্যপ বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে সলমন খান এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবাংয়ের পরিচালক ছিলেন। এই ছবির কাজ চলাকালীন সলমন খানের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ হয়। এবার আরেকটি সাক্ষাৎকারে 'দাবাং' ছবির কাস্টিং নিয়ে কথা বলেছেন অভিনব। বলেন যে, তিনি ধর্মেন্দ্রকে সলমন খানের বাবার চরিত্রে কাস্ট করতে ভয় পেয়েছিলেন কারণ সানি দেওল একবার কান্তি শাহকে পরাজিত করেছিলেন। কান্তি গুন্ডা ছবিতে ধর্মেন্দ্রের একটি নোংরা দৃশ্য রেখেছিলেন।
বলিউড হিথানার সঙ্গে কথা বলছিলেন অভিনব। তিনি জানান, তিনি যখন দাবাং ছবিটি নির্মাণ শুরু করেন, তখন প্রথম দিকে সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। তিনি অনুপম খের ও ওম পুরীকে কাস্টও করেন। এরপর বিনোদ খান্নাকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তার জন্য ধর্মেন্দ্রর কাছে যান। অভিনবের কথায়, ‘আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম এবং তিনি আমার হাত ধরে বলেছিলেন, 'বাবা, যখন চরিত্রটি শক্তিশালী হবে তখনই আমাকে নিও'। সেই সময় শোনা গিয়েছিল যে সানি দেওল কান্তি শাহকে মারধর করেছিলেন কারণ ধর্মেন্দ্রর কাছে কোনো ভুল চরিত্র নিয়ে গিয়েছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না, শক্তিশালী চরিত্রে বলতে উনি প্রধান চরিত্র চাইছেন কি না!’
অভিনব বলেন যে, সলমন খানই তাঁকে পরামর্শ নেন বিনোদ খান্নাকে নেওয়া উচিত। ডিম্পল কাপাডিয়ার কাস্টিংও একই রকম ছিল। সোহেল সবার সঙ্গে টাকা নিয়ে কথা বলতেন। অভিনব বলেন যে, তিনি কেবল সোনু সুদকে কাস্টিংয়ে নেওয়ার জন্য জোর দিয়েছিলেন, কিন্তু সলন সোনুর ফিজিক্স নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন।
একই সাক্ষাৎকারে অভিনব সলমনর পরিবারকে গুন্ডা এবং সালমানকে গুন্ডা-মাওয়ালি মতো হাবভাব হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, আরবাজ তাকে ছবির জন্য নিয়ে এসেছিলেন। তিনি ১০ লক্ষ টাকা স্বাক্ষর করেছিলেন তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে তার কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি এটাও জানতেন না যে ছবির প্রধান মহিলা সোনাক্ষি সিনহা।
প্রসঙ্গত, কান্তি শাহের 'গুন্ডা' ছবি খুবই বিতর্কিত একটি ছবি। এতে তিনি ধর্মেন্দ্রকে এক নগ্ন মহিলার সঙ্গে ঘৃণ্য অভিনয় করতে দেখিয়েছেন। এই দৃশ্যটি ধর্মেন্দ্র করেননি বরং কান্তি শাহ তৈরি করেছিলেন। ছবির অজুহাতে সানি দেওল কান্তি শাহকে তার অফিসে ডেকে পাঠান। খবর পাওয়া গেছে যে কান্তি শাহকেও মারধর করা হয়েছিল।