ম্যাচ রেফারে হিসেবে অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে সরানোর দাবিতে অনড় থেকে গতকাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি দিয়েছিল পিসিবি। এরই মাঝে আইসিসি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্টকে সরানো হবে না। এদিকে ম্যাচ না খেললে পিসিবিকে দিতে হত মোটা জরিমানা। সঙ্গে এশিয়া কাপ থেকেও ছিটকে যেত তারা। এই আবহে অবশেষে আত্মসমর্পণ করে মাঠে নামে পাকিস্তান। ম্যাচ জিতলেও মাঠের বাইরে তাদের হার হয়। তবে সেই হারকেই 'জয়' হিসেবে দেখানোর জন্য পিসিবি দাবি করে, অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট নাকি ক্ষমা চেয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আঘার কাছে। তবে ক্রিকবাজের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাইক্রফ্ট কোনও ক্ষমা চাননি। তিনি শুধু জানান, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন আঘার কাছে। আর সেটাই 'ক্ষমাপ্রার্থনা' বলে প্রচার করছে পিসিবি।
এর আগে অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে ম্যাচ রেফারির প্যানেল থেকে সরানোর দাবিতে আইসিসিকে চিঠি দিয়েছিল পিসিবি। তবে আইসিসি তাদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে জানায়, এই গোটা ঘটনায় পাইক্রফ্ট নির্দোষ। প্রসঙ্গত, টসের সময় ভারতীয় অধিনায়কের সঙ্গে যাতে করমর্দন না করেন, তার জন্য পাকিস্তানের সলমন আঘাকে বার্তা দিয়েছিলেন পাইক্রফ্ট। প্রকাশ্যে যা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্যেই এই বার্তা পাইক্রফ্ট দিয়েছিলেন সলমনকে। তবে ম্যাচের পর ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলায়নি। সেই আবহে পাইক্রফ্টের কাছে অভিযোগ দায়ের করে পাক ম্যানেজার। আর পাইক্রফ্টের নামে আইসিসির কাছে অভিযোগ জানায় পিসিবি। এদিকে এই বিতর্কে ম্যাচ রেফারির কোনও ভূমিকা ছিল না বলে মত আইসিসির।
এদিকে দাবি না মানা হলে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছিল পিসিবি। পরে রিপোর্টে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের বাকি ম্যাচ থেকে পাইক্রফ্টকে সরানোর 'মধ্যস্থতা' হয়েছে। তবে গতকাল পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাতের ম্যাচের আগে জানা যায়, পাইক্রফ্টই থাকবেন রেফারি। এই পরিস্থিতিতে হোটেল থেকে পাক ক্রিকেটারদের স্টেডিয়ামে আসতে বারণ করে পিসিবি। পরে পিসিবির প্রাক্তন প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। তারপর নিজেদের মুখ বাঁচাতে একাধিক দাবি করেন তাঁরা। সঙ্গে দলকে মাঠে পাঠায় পিসিবি। এক ঘণ্টা বিলম্বে শুরু হয় ম্যাচ।