সোহা আলি খান এবং তাঁর ভাই সইফের বয়সের ব্যবধান ৯ বছরের। সোহা আগেই জানিয়েছেন যে, শৈশবে তিনি সইফের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পাননি। বরং বড় হওয়ার পর তাঁদের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে।
একটি সাক্ষাৎকারে সোহা জানিয়েছেন যে, সইফ শৈশবে কতটা দুষ্টু ছিলেন। তাঁর কার্যকলাপের কারণে বাবা-মা অর্থাৎ মনসুর আলি খান ও শর্মিলা ঠাকুর তাঁকে সইফের সঙ্গে একঘরে ঘুমোতে দিতেন না।
মুম্বইতে থাকাকালীন, ম্যাশাবেল ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে সইফ এবং নিজের শৈশব সম্পর্কে কথা বলেছেন সোহা। তিনি বলেছেন, ‘আমার এবং ভাইয়ের মধ্যে ৯ বছরের পার্থক্য আছে, যা অনেক। আমি যখন জন্মগ্রহণ করি, তখন সে পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে গিয়েছিল। সে ফিরে আসার পর সিনেমায় কাজ শুরু করে এবং আমি পড়াশোনার জন্য অক্সফোর্ড চলে যাই। মুম্বইতে আসার পরই আমরা একসঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করি এবং আমাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।’
‘আমি যখন বড় হচ্ছিলাম, তখন সে আমার কাছে এক রহস্যের মতো ছিল, কারণ সে উইনচেস্টারে পড়াশোনা করছিল এবং শুধুমাত্র ছুটিতেই বাড়ি আসত। তখন তার যা ইচ্ছা তাই করত। সে শৈশবে খুব দুষ্টু ছিল এবং বাবা-মা তাঁর উদাহরণ দিয়ে আমাকে বলতেন কী করবে না। আমি যে ঘরে ঘুমাতাম, সেটা আসলে তার ঘর ছিল, কিন্তু সে যখন আসত, তখন আমাকে সেখানে ঘুমোতে দেওয়া হত না, কারণ সে প্রায়ই রাতে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যেত এবং দেরিতে ফিরত।’, দাদার দুষ্টুমি ফাঁস করলেন সোহা।
‘সে ছোটবেলা এমন এমন কাজ করত! বাবা-মা তাই আমাকে ওর সঙ্গে এক ঘরে ঘুমাতে দিতেন না, কারণ তাঁরা মনে করতেন যে, আমি তার মতো দেখতে, স্বভাবও ওর মতো হয়ে যাব। আমার বোন (সাবা আলি খান) ভাইয়ের আসার জন্য খুব উত্তেজিত থাকত, কারণ ও আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির পরিবেশ বদলে যেত। কেমন করে যে আসবে তার তো কোনো ঠিক ছিল না। কখনো লাল চুল, কখনো ব্লন্ড, কখনো লম্বা চুল।’, আরও বলেন সোহা।