সম্প্রতি কলকাতায় এসে ফোর্ট উইলিয়ামে সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সম্মেলনেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে কমান্ডারদের সেই সম্মেলন শেষ হয় বুধবার। সেখানেই ঠিক করা হয়েছে যে তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন তৈরি করা হবে দেশের উত্তর, মধ্য এবং পূর্ব অংশে। এছাড়া থিয়েটার কমান্ড তৈরিতেও বিশেষ জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই সম্মেলনে। এই থিয়েটার কমান্ড তৈরির প্রথম ধাপ হিসেবেই আপাতত দেখা হচ্ছে এই যৌথ মিলিটারি স্টেশনগুলিকে।
এর আগে সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় বায়ুসেনার মধ্যে সমন্বয় দেখা গিয়েছিল। জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সেনা এবং বায়ুসেনা একসঙ্গে কাজ করেছিল। এছাড়া নৌসেনার সঙ্গেও সমন্বয় বজায় রেখেছিল বায়ুসেনা। উল্লেখ্য, আমেরিকার মতো যৌথ সামরিক থিয়েটার কমান্ড তৈরির জন্যে মোদী সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের পদ তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ধাপে ধাপে এই থিয়েটার কমান্ড বাস্তবায়নে বেশ কিছুটা সময় লাগছে। তবে সদ্য পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে সামরিক বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি খাতায় কলমে দেখা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আমেরিকা এবং চিনে এই ধাঁচেই সামরিক বাহিনীর থিয়েটার গঠিত রয়েছে। ভারতে এই ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে প্রাক্তন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত দাবি করেছিলেন যে যেকোনও সংস্কারে কিছু বাধা বিপত্তি আসে, তবে থিয়েটার গঠনের ক্ষেত্রে সব বাহিনী সহমত পোষণ করছে। এর আগে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, প্রস্তাবিত থিয়েটার কমান্ডের দুটি নির্দিষ্টভাবে চিন ও পাকিস্তানকে কেন্দ্র করে গঠিত হবে। সেনাবাহিনীর কাজকর্ম আরও নিখুঁত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যেই এই কমান্ড গঠন। সরকার চায়, স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার মধ্যে বোঝাপড়া যেন মসৃণ হয়।