কলকাতার চিকিৎসা পরিষেবায় নতুন দিগন্ত খুলে গেল। এসএসকেএম হাসপাতালের প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করলেন এক ঝকঝকে আধুনিক হাসপাতাল ভবনের। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অনন্য’। এই ভবনে পাওয়া যাবে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা। থাকছে প্রাইভেট কেবিন।
আরও পড়ুন: অসুস্থ নাসরিনের মৃত্যু এসএসকেএমে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্যালাইন কাণ্ডের জের
এই নতুন দশতলা (জি প্লাস নাইন) ভবনে থাকছে একাধিক আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। সর্বোচ্চ তলায় রাখা হয়েছে আটটি ভিআইপি সুইট। বাকি অংশে তৈরি হয়েছে ১০২টি কেবিন, সঙ্গে পাঁচটি এইচডিইউ এবং ১৬টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড (সিসিইউ/আইটিইউ)। কয়েকটি রিকভারি বেডও থাকছে। সব মিলিয়ে ১৩১ বেডের এই হাসপাতালকে সাজানো হয়েছে পাঁচতারা কর্পোরেট হাসপাতালের আদলে। তবে খরচ রাখা হয়েছে তুলনামূলকভাবে অনেক কম।জানা যাচ্ছে, সিঙ্গল কেবিনে প্রতিদিন ৫,০০০ টাকা, সুইট কেবিনে প্রতিদিন ৮,০০০ টাকা, এইচডিইউতে প্রতিদিন ১২,০০০ টাকা এবং সিসিইউ/আইটিইউতে প্রতিদিন ১৫,০০০ টাকা।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, প্রকল্পের প্রাথমিক প্রস্তাবে ভাড়া আরও বেশি রাখার কথা ছিল। তিনি নিজেই তা গড়ে দুই হাজার টাকা কমিয়েছেন। পাশাপাশি ঘোষণা করেছেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেডের খরচের মধ্যে রোগীর চিকিৎসা, খাওয়া-দাওয়া এবং ডাক্তার-নার্সদের ফি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আলাদা দিতে হবে শুধু টেস্ট এবং ওষুধের খরচ। অপারেশন হবে নির্দিষ্ট প্যাকেজে। এখানকার খরচ ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের মাধ্যমে মেটানো যাবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষ সুবিধা। মমতার কথায়, পিজির ডাক্তার-নার্সরাই এখানে দায়িত্বে থাকবেন। এই হাসপাতাল বড় বড় প্রাইভেট হাসপাতালকেও টক্কর দেবে। তিনি আরও জানান, নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফি এবং অন্যান্য খরচের পর্যালোচনা হবে। লভ্যাংশের একটি অংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও ভাগ করা হবে।
এছাড়া, কয়েকটি বিভাগের আউটডোর শিগগিরই চালু হবে। ডাক্তার দেখানোর ফি নির্ধারিত হতে পারে গড়ে ৩৫০ টাকা। পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা চালুর আগে পুজোর আগেই চারতলা পর্যন্ত কিছু কেবিন খোলা হবে। এই হাসপাতালের পাশাপাশি এসএসকেএম-এ নতুন রোবট, বোন ব্যাঙ্ক, ক্যাথল্যাব, সিটি স্ক্যানসহ মোট ১৭টি আধুনিক পরিষেবারও সূচনা হয়েছে মঙ্গলবার।